বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » কোর্ট-কাচারী | জাতীয় | ঢাকা | বিভাগের খবর | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ | স্বাস্থ্য » জেকেজির সাবরিনা-আরিফের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন দু’জন।।লালমোহন বিডিনিউজ
জেকেজির সাবরিনা-আরিফের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন দু’জন।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্ক : করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান সাবরিনা চৌধুরী ও সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় আরও দু’জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী আদালতে সাক্ষ্য দেন তারা। সাক্ষীরা হলেন: নজরুল ইসলাম ও হাসান। তারা জব্দ তালিকার সাক্ষী। এরপর তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এ মোট ৪২ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে তিনজন সাক্ষ্য দিলেন। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত ২৭ আগস্ট মামলার বাদি কামাল হোসেনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। এর আগে গত ২০ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। গত ৬ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
তার আগে, ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন: আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা। চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে আটক করে পুলিশ। হিরু তার স্বীকারোক্তিতে জানান, তিনি ভুয়া করোনা সার্টিফিকেটের ডিজাইন তৈরি করতেন, যার সঙ্গে জেকেজি গ্রুপের লোকজন জড়িত। ওই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জেকেজির সিইও আরিফুলসহ চারজনকে আটক করে।
গেল ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করে। মামলার তদন্তে জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনার নাম এলে গত ১২ জুলাই তাকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে তা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।