রবিবার, ৩০ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » লালমোহন | শিক্ষা | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে উপজেলা শিক্ষা অফিসে গত অর্থ বছরে প্রায় কোটি টাকা লোপট !
লালমোহনে উপজেলা শিক্ষা অফিসে গত অর্থ বছরে প্রায় কোটি টাকা লোপট !
লালমোহন বিডিনিউজ ডেস্ক : লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গত অর্থ বছরের স্কুল মেরামত সহ বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় কোটি টাকার উপর লোপট হয়েছে। তথাকথিত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি নেতারা রাজনৈতিক দাপট দেখিয়ে শিক্ষা অফিসারকে দিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করিয়ে সরকারের কোটি টাকা তছুরুপ করেছে বলে বিভিন্ন ভাবে জানা যায়। সুত্রে জানাযায়, গত ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের শেষ দিকে মেরামত, ক্ষুদ্র মেরামত , স্লিপ প্রকল্প, প্রাক প্রাথমিক উপকরন ক্রয়, টয়লেট নির্মান, সহ শিক্ষকদের ট্রেনিং দেওয়ার জন্য কোটি টাকার উপরে বরাদ্ব হয়। লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানাযায়, এছরের শেষ দিকে স্কুল মেরামতের জন্য ১৭টি বিদ্যালয়ে ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকা করে ১৯ লক্ষ টাকা, স্লিপ প্রকল্পে ১৮৭ টি বিদ্যালয়ে ৩০ হাজার করে ৫৬ লক্ষ ১০ হাজার , বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২০টি বিদ্যালয়ে ৩০ হাজার করে ৬লক্ষ, টয়লেট নিমানের জন্য ১২টি বিদ্যালয়ে ২০ হাজার করে ২লক্ষ ৪০ হাজার, প্রাক প্রাথমিক উপকরন ক্রয়ের জন্য ৫ হাজার করে ১৯১ বিদ্যালয়ে ৯লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার ও বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের বিভিন্ন ট্রেনিং বাবদ কোটি টাকার উপড়ে বরাদ্বকৃত টাকা বন্টন করা হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসের উপড় চেপে বসা লালমোহন শিক্ষক সমিতি শিক্ষা কর্মকর্তার সহায়তায় প্রতি বিদ্যালয়ে স্লিপ থেকে ১৩শ,উপকরন ক্রয় বাবদ ৫শ ছাড়াও সদর রোডের রিয়াজ ষ্টোরের নামে বেনামে বাউচার দিয়ে মাত্র ২৭শ টাকার উপকরন দিয়ে ১৮শ টাকা করে আত্বসাৎ করে।এছাড়াও ক্ষুদ্র মেরামত ও টয়লেটের বরাদ্ব থেকে ৫- ৭ হাজার টাকা করে প্রতি বিদ্যালয়ে থেকে উৎকোচ গ্রহন করে।এভাবে দুর্নীতি করে প্রায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা উৎকোচ নেয় এসকল অসাধু কর্মকর্তা সহ শিক্ষক নেতারা। এসকল বরাদ্ব কৃত টাকা বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা রমযানের এক মাস উর্ধো ছুটিকে কাজে লাগিয়ে কোন টাকার কাজ না করিয়ে বাকীটুকুও আত্বসাৎ করে ।অন্য দিকে উপজেলা রির্সোস সেন্টারের শিক্ষকদের নামে বেনামে ট্রেনিংয়ের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্বসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্বে। এদিকে লালমোহন উপজেলার সাবেক শিক্ষা অফিসার আইয়ুব আলী বলেন, আমি কোন প্রকার দূর্নীতির সাথে জড়িত নই। আমি সকল বরাদ্বকৃত টাকা প্রধান শিক্ষকদের একাউন্টে দিয়েছি। প্রধান শিক্ষকরা কাকে ঘুষ দিয়েছে তা তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে। এ ব্যাপারে ঘোপনীয় ভাবে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহন সহ অসাধু ও দুর্নীতিবাজ ব্যাক্তিদের বিরূদ্বে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করতে ভোলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অনুরোধ জানিয়েছেন সাধারন শিক্ষক সমাজ ।