শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » জাতীয় | ঢাকা | তথ্যপ্রযুক্তি | বিভাগের খবর | মুক্তমত | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » করোনার মধ্যে সাংবাদিক-কার্টুনিস্ট নিপীড়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি।।লালমোহন বিডিনিউজ
করোনার মধ্যে সাংবাদিক-কার্টুনিস্ট নিপীড়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্ক : মহামারী করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ সংকটের মধ্যে সাংবাদিক ও কার্টুনিস্টদের ওপর শারীরিক হামলা ও মামলা দিয়ে হয়রানির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি পাঠিয়েছে দেশি-আন্তর্জাতিক পাঁচটি সংগঠন।
এই সংগঠনগুলো হল- কার্টুনিস্টস রাইটস নেটওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল (সিআরএনআই), রিপোর্টারস উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ), ফোরাম ফর ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন, বাংলাদেশ (এফইএক্সবি), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং কার্টুনিং ফর পিস (সিএফপি)।
বুধবার রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের ওয়েবসাইটে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় দৃঢ় বিশ্বাসের কথা বলা হলেও বর্তমান মহামারীতে তা লঙ্ঘিত হচ্ছে।
“শুধু মে মাসেই অন্তত ১৬ জন সাংবাদিক ও ব্লগারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর রয়েছেন, যাকে ৬ মে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তার একমাত্র ‘অপরাধ’ ছিল ‘করোনার সময়ে জীবন’ শিরোনামে রাজনীতিকদের কার্টুন আঁকা। তিনি এখনও বন্দি এবং তার সামনে যাবজ্জীবনের হুমকি।
“অন্যান্য সাংবাদিকদের অধিকাংশের বিরুদ্ধেই এই আইনে মামলা হয়েছে সংবাদ প্রকাশের জন্য, যাতে স্থানীয় রাজনীতিকরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন।”
এছাড়া বাংলাদেশে লকডাউন শুরুর পর থেকে অন্তত ১৩ জন সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা হয়েছে, কয়েকজন গুরুতর আহতও হয়েছেন। এই সাংবাদিকরা ত্রাণে অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য হামলার শিকার হয়েছেন বলে চিঠিতে বলা হয়েছে।
জাতিসংঘের ভাষায় ‘ভুল তথ্যের এই মহামারীর’ মধ্যে বাংলাদেশি সাংবাদিকরা দেশের মানুষকে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে সামনের কাতারে থেকে কাজ করছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
তাদের এভাবে হামলা ও হয়রানির মুখে পড়াটা মেনে নেওয়ার মতো নয় বলে লিখেছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় সোচ্চার এই পাঁচ সংগঠন।
এই প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের বিচার নিশ্চিত, সাংবাদিক-ব্লগার ও কার্টুনিস্টদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা প্রত্যাহার এবং এই আইন বাতিল করে সাংবাদিক সুরক্ষার নতুন একটি আইন প্রণয়নের দাবি জানানো হয়েছে তাদের চিঠিতে।