বৃহস্পতিবার, ২১ মে ২০২০
প্রথম পাতা » জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | মনপুরা | শিরোনাম | সর্বশেষ » আম্ফান’র প্রভাবে মনপুরায় মাদ্রাসা ও ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত।।লালমোহন বিডিনিউজ
আম্ফান’র প্রভাবে মনপুরায় মাদ্রাসা ও ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, মনপুরা প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ভোলা জেলা মনপুরা উপজেলা কিছু কিছু স্থানে ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। এছাড়া আম্ফান এর প্রভাবে মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তলিয়ে গেছে বেড়িবাঁধে বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষের ঘরবাড়ি। গতকাল বুধবার (২০ মে) বাংলাদেশে আঘাত হানলে মনপুরা উপকূলেও এর প্রভাব পড়ে।
এ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পরে মুশলধারে বৃষ্টির সঙ্গে তীব্র বাতাসে উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নে ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোজাম্মেল এর বসতঘরটি পড়ে গেছে। উড়িয়ে নিয়ে গেছে ঘরের টিনের চাল।
দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে ইউপি সদস্য ফয়সাল আলম মোস্তফা বলেন, ঢালী মার্কেট সংলগ্ন মরহুম আমানউল্লাহ মিয়া নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার উপরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। বেশ কিছু গাছ ভেঙে পড়েছে। নদীর পানির চাপে বেড়িবাঁধের অবস্থারত অনেক অসহায় গরীব দিনমজুর এর ঘর পানির চাপে তলিয়ে গেছে। এখন তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, জোয়ারের পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ঘর এবং ঘরের মালামাল নিয়ে বেড়িবাঁধ এর উপরে অবস্থান করেছেন আঃ মালেক, জামাল মাঝি, রাসেদ, সোহেল সহ অনেকে। তারা তাদের পুনর্বাসনের জন্য সাহায্য সহযোগীতার দাবী জানিয়েছেন।
এই সময় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান আরো বলেন, সাহায্য ছাড়া তাদের আর কোন উপায় নেই।
মনপুরা উপজেলা আ’লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অলিউল্লাহ কাজল বলেন, আজ বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকাল থেকে এলাকায় ঘুরে ঘুরে দেখেছি। বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এবং নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়িবাঁধ এলাকায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান একটু বেশি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস বলেন, জনপ্রতিনিধিদের মাধ্য আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করেছি। বরাদ্ধ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।