শনিবার, ১৬ মে ২০২০
প্রথম পাতা » জাতীয় | ঢাকা | তথ্যপ্রযুক্তি | বিভাগের খবর | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » দেশের সমুদ্রবন্দরে ১নং দূরবর্তী সতর্ক সংকেত।।লালমোহন বিডিনিউজ
দেশের সমুদ্রবন্দরে ১নং দূরবর্তী সতর্ক সংকেত।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থাকায় সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
শনিবার (১৬ মে) ভোরে বিশেষ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি সামান্য পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে সরে গিয়ে বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
এর আগে এপ্রিলের শেষে ও মে মাসের শুরুতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পূর্বাভাস দিয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আম্ফানের আবির্ভাব ও প্রভাব পড়েনি। তবে সেটিই এখন নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে নাম হবে আম্ফান। তবে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আগে বেশকিছু স্তর রয়েছে। লঘুচাপ, সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ, তারপরের রূপটি হলো ঘূর্ণিঝড়।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। এটা সাগরে আছে। যদি ঘূর্ণিঝড় হয়, উপকূলীয় এলাকার দিকে আসে, তাহলে এটার প্রভাব পড়তে পারে। আর যদি ভারতের দিকে চলে যায়, তাহলে আমাদের এখানে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। এখনো ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়নি।’