বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ | জাতীয় | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | বোরহানউদ্দিন | শিরোনাম | সর্বশেষ » বঙ্গবন্ধুর খুনির নাতি বোরহানউদ্দিনের ছাত্রলীগ নেতা! ।।লালমোহন বিডিনিউজ
বঙ্গবন্ধুর খুনির নাতি বোরহানউদ্দিনের ছাত্রলীগ নেতা! ।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্ক : বঙ্গবন্ধুর খুনি চাকরিচ্যুত ক্যাপ্টেন মাজেদের নাতি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিব উল্যাহ পলাশ বিশ্বাস!
তবে কিভাবে তিনি সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েছেন এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতারা জানে না কিছুই। বিষয়টি দুঃখজনক মন্তব্য করে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান জয় ফোনে বেসরকারি টেলিভিশন “ডিবিসি নিউজ”কে জানিয়েছেন, পলাশকে যারা নেতা বানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি যদি আসলেই হয়ে থাকে তাহলে তা আমাদের জন্য দুঃখজনক। তাকে কে বানিয়েছে আমরা জানিনা। তবে খোঁজখবর নিয়ে যারা বানিয়েছে আমরা অবশ্যই এই বিষয়টায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করবো এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৭ই এপ্রিল) বঙ্গবন্ধুর খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল মাজেদকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের নির্দেশে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার (৬ই এপ্রিল) দিবাগত গভীর রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। ভারতে লুকিয়ে আছেন বলে সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন সময় খবর আসলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ৩৪ বছর পর ২০১০ সালে ১২ খুনিকে মৃত্যুদণ্ড দেন সর্বোচ্চ আদালত। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে পাঁচজনের দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে। সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, বজলুল হুদা ও মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি। তাদের ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলেও বাকি ৭ জনের মধ্যে ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে আজিজ পাশার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়। বিভিন্ন দেশে পালিয়ে থাকা ৬ আসামির মধ্যে আজ গ্রেপ্তার হলেন আব্দুল মাজেদ।
আবদুল মাজেদ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আরও কয়েকজন খুনির সঙ্গে ব্যাংকক হয়ে লিবিয়া চলে যান। এরপর তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান তাকে সেনেগালের দূতাবাসে বদলি করেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার শুরু করে। সে সময় আত্মগোপনে চলে যান মাজেদ। তার স্ত্রী ক্যান্টনমেন্ট আবাসিক এলাকায় বসবাস করছেন। মাজেদের চার কন্যা ও এক ছেলে রয়েছে।