শনিবার, ২৮ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » বিবিধ » লালমোহনে “গাফুরিয়া ব্রিক্সে” পুড়ছে বনের কাঠ: বিপন্ন পরিবেশ।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে “গাফুরিয়া ব্রিক্সে” পুড়ছে বনের কাঠ: বিপন্ন পরিবেশ।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জের রায়চাঁদ বাজার সংলগ্ন পশ্চিম পাশে আবাসিক এলাকা ও ফসলী জমিতে গড়ে ওঠা “গাফুরিয়া ব্রিক্স ফিল্ডে অবাধে বনের কাঠ পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এতে করে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে বলেও দাবি স্থানীয়দের।
আইন অনুযায়ী আবাসিক এলাকা, বনাঞ্চল, উপজেলা সদর ও ফলের বাগানের তিন কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা নিষিদ্ধ। কোনো এলাকায় ৫০টি বাড়ি ও ৫০টির বেশি ফলের গাছ কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলে সেখানে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু এসব নিয়ম না মেনেই আবাসিক এলাকা ও ফসলী জমির মধ্যেই “গাফুরিয়া ব্রিক্স” নামের ইটভাটা গড়ে উঠেছে।
নাম প্রাকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন, গাফুরিয়া ব্রিক্স ফিল্ড লালমোহন সদর থেকে বেশি দুরত্ব নয়, কাছাকাছি, এক কথায় প্রশাসনের নাকের ডগায় থেকে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ইটভাটাটি চলছে। প্রতিনিয়ত বনের কাঠ পুড়িয়ে নিম্ম মানের ইট তৈরি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
যার কারনে আশপাশের পরিবেশ এর উপর ব্যাপক প্রভাব পরছে, ঝুঁকি বাড়ছে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর , হারিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি ও বসত বাড়ির বাগানের উর্বরতা শক্তি।
ইটভাটা স্থাপনসংক্রান্ত আইন না মানায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন এসব ইটভাটার ছাড়পত্র দেয়নি। অবৈধ এসব ইটভাটায় বনের কাঠ পোড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে।
আইন অনুযায়ী আবাসিক এলাকা, বনাঞ্চল, উপজেলা সদর ও ফলের বাগানের তিন কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা নিষিদ্ধ। কোনো এলাকায় ৫০টি বাড়ি ও ৫০টির বেশি ফলের গাছ কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলে সেখানে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। এসব নিয়ম না মেনেই উপজেলার অধিকাংশ ইটভাটা গড়ে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ক্বওমী মাদ্রাসা, মসজিদসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০০-৬০০ গজের মধ্যে ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটার চিমনির ধোঁয়া আশপাশ এলাকার পরিবেশ দূষিত করছে। ইটভাটার কারণে এলাকার পরিবেশও বিপন্ন হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিবছর ফসলী জমি থেকে মাটি তুলে বিক্রির কারণে কৃষিজমির উর্বরতাও নষ্ট হচ্ছে।
এলাকার লোকজন জানান, ইটভাটায় বেশিরভাগই বনের কাঠ পোড়ানো হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর, প্রশাসন, পুলিশ ও বন বিভাগের লোকজন এসব দেখেও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এ সুযোগে কয়লার পরিবর্তে চুল্লিতে বনের কাঠ পোড়াচ্ছেন ভাটার মালিক।
সূত্রে জানা যায়, ইটভাটাটির কোন ছাড়পত্র (লাইসেন্স) নেই। ইটভাটা স্থাপনসংক্রান্ত আইন না মানায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন ছাড়পত্র দেয়নি। তবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই অবৈধভাবে বনের কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে।
অনুমোদনহীন ইটভাটা স্থাপন প্রসঙ্গে “গাফুরিয়া ব্রিকসের” ম্যানেজার জামাল উদ্দিন বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করেছি।’ এখনো ছাড়পত্র পাননি। এসময় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেয়া একটি ট্রেড লাইসেন্স দেখান তিনি।