মঙ্গলবার, ১০ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ | চরফ্যাশন | জেলার খবর | দক্ষিণ আইচা | বরিশাল | বিভাগের খবর | মনপুরা | শিরোনাম | সর্বশেষ » চরফ্যাসনে নদীতে প্রকাশ্যে মাছ শিকার: নির্বিকার প্রশাসন।।লালমোহন বিডিনিউজ
চরফ্যাসনে নদীতে প্রকাশ্যে মাছ শিকার: নির্বিকার প্রশাসন।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, চরফ্যাসন প্রতিনিধি : মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় দুই মাস সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আইন মানছেনা জেলেরা। প্রতিদিন চরফ্যাসনে মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় সারি-সারি নৌকা নিয়ে শত-শত জেলে মহোসৎবে জাটকাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিধন করছেন।
মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় তৎপরতা না থাকায় এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় প্রকাশ্যে এভাবেই মাছ শিকার চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও দাদনদার-মহাজনরা সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে জেলেদের নদীতে পাঠায় এমন অভিযোগ সবার মুখে মুখে। এমন পরিস্থিতিতে মাছের উৎপাদন ব্যাহত হয়ে সরকারের কাঙ্খিত উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সোমবার বিকালে ও মঙ্গলবার সকালে চরফ্যাসনের তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা নির্বিঘ্নে মাছ শিকার করছেন। বেশির ভাগ জেলে জাটকা শিকারে ব্যবহার করছেন অবৈধ কারেন্ট জাল। বাঁধা জাল দিয়ে মারছেন ইলিশের পোনা। মশারি জাল দিয়ে নিধন করছে পোয়ামাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। এসব মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে হাট-বাজার ও আড়তে। সংরক্ষণ করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকা-বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
চরফ্যাসন উপজেলার ঘোষের হাট, কাসেম মিয়ার হাট, বাংলাবাজার, গাছিরখাল, চৌকিদার খাল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, জেলেরা নদীতে কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ধরার ফাঁদ পেতেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর থেকে তেতুলিয়া নদী থাকে পুরো অরক্ষিত। জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে সারা রাত ধরে জেলেরা মাছ শিকার করেন। ভোরে ঘাটের আশপাশের এলাকায় অস্থায়ী ঘাটে জেলেরা মাছ উঠায়। লাখ-লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয় প্রতিদিন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চরফ্যাসন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, তিনি গত এক সাপ্তাহ ছুটিতে ছিলেন, এছাড়াও তাদের জনবলের অভাব রয়েছে, যে কারণে গত কিছুদিন যথাযথভাবে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আগামী দুই তিনদিনের মধ্যে চরফ্যাসন উপজেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে যথাযথভাবে অভিযান পরিচালনা করে এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন এ মৎস্য কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, ইলিশ রক্ষায় ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।