বুধবার, ৫ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ১২ দিনেও চালু হয়নি ভোলা-লক্ষীপুর ফেরীসার্ভিস, কোটি টাকা লোকসানের মুখে ব্যবসায়ীরা
১২ দিনেও চালু হয়নি ভোলা-লক্ষীপুর ফেরীসার্ভিস, কোটি টাকা লোকসানের মুখে ব্যবসায়ীরা
ভোলা সংবাদদাতা : ভোলা ইলিশা ফেরিঘাট সড়ক মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাওয়ায় ১২দিন ধরে ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় কোটি কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছে ভোলার ব্যবসায়ীরা। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ১৬ জেলার সাথে বন্দর নগরী চট্রোগ্রামের সহজ যোগাযোগের মাধ্যম ইলিশা ফেরিঘাটের রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে প্রতিদিন নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য আনা নেয়া করতে না পারায় মারাতœক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন দেশের সর্ববৃহৎ দ্বীপের ব্যবসয়াীরা। এছাড়াও ভোলা থেকে চট্রোগ্রাম নোয়াখালীগামী সাধারন যাত্রীরাও পরেছেন চরম ভোগান্তির মধ্যে। এরফলে চট্রগ্রামের সাথে সড়ক যোগাযোগে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র গুলো জানিয়েছে,গ্যাস সমৃদ্ধ দ্বীপজেলা ভোলায় গত ঈদুল ফিতরের দিন থেকেই নেমে আসে দুর্যোগ। শুরু হয় ভোলা-লক্ষীপুর মহা সড়কের ইলিশা ফেরিঘাট এলাকায় ভয়াবহ ভাঙ্গন। গত ২৫ জুলাই ওই রাস্তা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় যাত্রীদের যাতায়াত, পন্য পরিবহনসহ ব্যবসায়ীক নানা কাজের জন্য গুরুপ্তপূর্ন দক্ষিন অঞ্চলের ভোলা-লক্ষীপুর ফেরী সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। এ রুট দিয়েই দক্ষিনাঞ্চলের সাথে ভোলা হয়ে চট্রগ্রামের ১৬ জেলার সহজ যোগাযোগ মাধ্যম। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যাত্রীরা আর ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসায়ী ও পরিবহন মালিকরা। যাত্রীরার জানান, তারা এখন জীবনের ঝুঁিক নিয়ে ট্রলার কিংবা সি ট্রাকে করে মেঘনা পাড়ি দিয়ে লক্ষীপুর হয়ে চট্রগ্রাম যেতে হচ্ছে। এতে করে তাদের খরচ বেড়ে গেছে।
এদিকে ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় বিকল্প ব্যবস্থায় ভোলা-বরিশাল রুট দিয়ে বরিশাল হয়ে ৩ শতাধিক কিলোমিটার ঘুরে অন্যজেলায় পরিবহন করা হচ্ছে কাঁচামালসহ বিভিন্ন মালামাল। এতে একদিকে যেমন কাঁচামাল নষ্ট হয়ে,তেমনি অতিরিক্ত সময় লাগার পাশাপাশি দ্বিগুন ভাড়া গুণতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এর ফলে রড টিনের দাম বেড়ে গেছে। যে কারনে কিছুতেই ক্ষতি পুশিয়ে উঠতে পারছেনা ব্যবসায়ীরা। ভোলা মহাজন পট্রি এলাকার রড টিন ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন জানান, ফেরি বন্ধ থাকায় তাদের এখন চট্রগ্রাম থেকে এক ট্রাক মাল আনতে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে এবং সময় লাগছে অন্তত ৭ দিন। আর আগে যেতে মাত্র ২৫ হাজার টাকা এবং সময়ও লাগত ২/৩ দিন। পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া এখন রড এ টিন প্রতি ২ হাজার টাকা বেড়ে গেছে। ভোলা ফেরি বাস্তবায়ন ও স্বার্থ রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব অমিতাভ অপু জানান, ফেরি বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ভোলা ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। যা ভোলার অর্থনীতিতে বিশেষ প্রভাব পড়ছে।
এদিকে ভোলা-লক্ষীপুর ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ার ২ দিন পরে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক পরিদর্শনে এসে দ্রুত ফেরীঘাট স্থানান্তর করে ৭ দিনের মধ্যে ফেরী চালুর আশ্বাস দেন । কিন্তু ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি ফেরী। তবে বিআইডব্লিউটিএ’র ঠিকাদার ইয়ানুর রহমান বিপ্লব মোল্লা জানান, ঘুর্ণিঝড় কোমেনের কারনে তাদের কাজ ২ দিন বন্ধ ছিলো। এখন তারা রাত দিন কাজ করছে। এ ব্যাপারে বরিশাল বিআইডব্লিটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ নেওয়াজ কবির বলেন, খুব দ্রুত ফেরী চালুর আশ্বাস দেন। তার মতে আগামী ২ দিনের মধ্যে ফেরি পারাপারের কাজ শুরু হবে।