বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | জেলার খবর | দক্ষিণ আইচা | বরিশাল | বিভাগের খবর | মনপুরা | মুক্তমত | শশীভূষণ | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় সাংসদ জ্যাকবের বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের বিক্ষোভ।।লালমোহন বিডিনিউজ
ভোলায় সাংসদ জ্যাকবের বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের বিক্ষোভ।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ভোলা প্রতিনিধি : সড়কের টেন্ডার হওয়া কাজ করতে না দেয়ায় ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভোলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র ঠিকাদাররা।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চরফ্যাশন ও মনপুরায় সড়ক মেরামত ও নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নে বাধা দেয়ার অভিযোগে এলজিইডি ভবনের সামনে ঠিকাদাররা একত্রিত হয়ে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ সময় বিক্ষুব্ধ ঠিকাদাররা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ও চরফ্যশন উপজেলা প্রকৌশলীকে ভোলা কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে এমপি জ্যাকবের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগী ঠিকাদাররা জানান, প্রায় ৭০ কোটি টাকার কাজ অনলাইন টেন্ডারিং সিস্টেম (ই-জিপি)’র লটারির মাধ্যমে টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে ভোলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২০ থেকে ২৫ জন ঠিকাদার চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় সড়ক মেরামত ও নির্মাণ কাজের ঠিকাদার হিসেবে নির্বচিত হয়। তবে প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের কাজের সাইড বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। এলজিইডির সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে কাজ বুঝিয়ে দেয়ার আবেদন করলে তিনি এমপি জ্যাকবের নির্দেশ ছাড়া কাজ বুঝিয়ে দিতে অপারগতা জানান।
মেসার্স তহুরা এন্টারপ্রাইজের মালিক আব্দুর রাজ্জাক, ঠিকাদার জুলফিকার আহমেদ জুয়েল, ঠিকাদার রুহুল আমিন কুট্টিসহ কয়েকজন ঠিকাদার জানান, স্থানীয় এমপি জ্যাকবের কাছে কাজের সাইড সম্পর্কে আলোচনা করলে তিনি প্রতিটি কাজের জন্য ২০ পার্সেন্ট করে টাকা তার ম্যানেজারের কাছে জমা দেয়ার কথা বলেন। তা না দেয়ায় প্রকৌশলী আমাদেরকে কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছে না। এতে করে আমরা টেন্ডারে কাজ পেয়েও কাজ করতে পারছি না।
তারা আরো জানান, এমপি জ্যাকবের এলাকায় এর আগেও কোনো ঠিকাদার তাকে টাকা দেয়া ছাড়া কাজ করতে পারত না। ওই এলাকায় কাজ করতে হলে তাকে কাজপ্রতি ২০ শতাংশ করে টাকা দিতে হতো। এতে করে কাজের মান খারাপ হতো।
এ ব্যাপারে ঠিকাদাররা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এর ব্যবহৃত দুটি মোবাইলে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
ভোলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, কাজের মূল ঠিকাদাররা কেউ উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে যায়নি। তারপরও ঠিকাদারদের অভিযোগের বিষয়টি ও উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানে আলোচনা করা হচ্ছে।