মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » জাতীয় | ঢাকা | বিভাগের খবর | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » সেনাবাহিনী থাকছে না সিটি নির্বাচনে-ইসি সচিব।।লালমোহন বিডিনিউজ
সেনাবাহিনী থাকছে না সিটি নির্বাচনে-ইসি সচিব।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালেমাহন বিডিনিউজ, ডেস্ক : ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবার সেনাবাহিনী রাখা হচ্ছে না। এ জন্য বুধবার (২২ জানুয়ারি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠকে অন্য বাহিনীগুলো অংশ নিলেও সেনাবাহিনীকে ডাকা হয়নি।
এদিকে সদ্য ঢাকা-১০, বগুড়া-১, বাগেরহাট-৪, যশোর-৬ ও গাইবান্ধা-৩ আসন শূন্য হয়েছে। শূন্য হওয়া এই আসনগুলোতে ভোট কবে হবে তা আগামী ২৮ জানুয়ারি কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিনও ২৮ জানুয়ারি নির্ধারিত হবে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন ভবনে কমিশনের ৫৮তম সভা শেষে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর এসব তথ্য জানান।
দুই সিটির নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করবে ইসি। আগে দেখা যেত পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও এই বৈঠকে ডাকা হতো। তবে আগামীকালের বৈঠকে সেনাবাহিনীকে ডাকা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব থাকে। সেই নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ডাকা হয়। এটি জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে সেনাবাহিনীকে কোনো দায়িত্ব দেয়া হয়নি। তাই তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর সভায় ডাকা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে ইভিএম ব্যবহারের জন্য টেকনিক্যাল ব্যক্তি হিসেবে থাকবে, যারা ইভিএম এক্সপার্ট। তারা সেনাবাহিনীর ফোর্স হিসেবে থাকবে না, বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য থাকবে না।’
২০১৫ সালে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ক্যান্টনমেন্টে স্ট্যান্ড বাই হিসেবে রাখা হয়েছিল বলে জানান এক সাংবাদিক। তার প্রশ্ন, এবার কোনোভাবে সেনাবাহিনীকে রাখা হবে কি-না? জবাবে সচিব বলেন, ‘এবার কোনোভাবেই সেনাবাহিনীকে রাখা হবে না।’
মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দৃশ্যমান না থাকার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলেছি। তারা বলেছেন, সকল ম্যাজিস্ট্রেটকে দৃশ্যমান করার চেষ্টা করছেন। তবে সবসময় যে ম্যাজিস্ট্রেটরা জানিয়ে যাবেন, তা নয়। কিছু কিছু সময় তদন্ত করতে হলে তাদেরকে গোপনে যেতে হয়। এ জন্যই হয়তো সবার সামনে দৃশ্যমান হচ্ছে না। কিন্তু তারা প্রতিবেদন ঠিকই দিচ্ছেন।’
ইংরেজিতে থাকা ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’ বাংলা করতে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি এটা দেখে-শুনে চূড়ান্ত করেছে। আজকের কমিশন সভায় তা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এখন এটিকে ইসি সচিবালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান মো. আলমগীর।