মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | কোর্ট-কাচারী | জেলার খবর | বরিশাল | বিভাগের খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য বিরোধীয় জমির গাছ কেটে নিলেন ইউপি চেয়ারম্যান
লালমোহনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য বিরোধীয় জমির গাছ কেটে নিলেন ইউপি চেয়ারম্যান
লালমোহন বিডিনিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধি : আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার লালমোহন উপজেলার সদর ইউনিয়নে জোরপূর্বক বিরোধীয় জমির গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শাহাজান মিয়ার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড এলাকায় নিজের বাড়ির দরজায় গড়ে তোলা “চেয়ারম্যান বাজার” এ টলঘর ও গরুর খামারের জন্য স্থানীয় মো: সেলিমের জমির উপর কু-নজর পড়ে চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়ার। জমির মালিক সেলিম কে উৎখাত করতে ওই জমিতে জবরদখল করে ওই জমিতে টলঘর, গরুর খামার ও একটি টিনসেট ঘর তোলেন চেয়ারম্যান শাজাহান মিয়া।
ভুক্তভোগী মো: সেলিম জানায়, চেয়ারম্যান বাজারের পূর্ব পাশের্^ জেএল নং-২০ এসএ খতিয়ান নং-২২৭ ও ৬৭, দাগ নং ২২৪২ ও ২২৪১, পেশকার হাওলা মৌজায় আমার ক্রয়কৃত ৪৪ শতাংশ জমি রয়েছে। বিএস জরিপে ওই দাগের জমি বিএস ৩৮৮৮নং দাগে পরিনত হয়ে ৪২শতাংশ জমি ডিপি ২২৭৪নং মাঠ পর্যায়ে আমার নামে রেকর্ড হয়। দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ এ জমি ভোগদখল করে আসছি। আমি কাজের তাগিদে চট্টগ্রামে থাকার সুযোগে জোরপূর্বক দখল নেয়ার চেষ্টায় গত ২৫ এপ্রিল ইট বালি নিয়ে এসে ঘর তোলার চেষ্টা করে চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়া। বাধা দিতে গিয়ে হুমকি শিকার হয়ে গত ২৯ এপ্রিল ২০১৯ইং তারিখে ভোলা আদালতে মামলা দায়ের করি। দেওয়ানী মামলা নং-১২৩/২০১৯ইং। পরে ওই জমিতে উভয় পক্ষকে স্থিতিতাদেশ দিয়ে একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ওই জমিতে টলঘরসহ একটি টিনসেট ঘর তোলেন চেয়ারম্যান। এছাড়াও গত ১৫ ডিসেম্বর (রবিবার) সকালে ওই জমি থেকে প্রায় ১৫/২০টি ছোট বড় গাছ কেটে নিয়ে যান তিনি চেয়ারম্যান। তার হুমকি ও জনবলের ভয়ে আমি বাধা দিতে পারিনি।
সেলিম আরও জানান, ওই জমি তদন্তে আদালত থেকে তদন্তকারীদেরকে বিরোধীয় জমি দেখিয়ে দেয়ার অপরাধে আমার চাচা আঃ মালেক (৫০) কেও পিটিয়ে আহত করে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। চেয়ারম্যান কর্তৃক হুমকি ও দখলদারিত্ব থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী সেলিম।
বিরোধীয় জমির গাছ কেটে নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে লালমোহন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়া বলেন, আমার জমির গাছ আমি কেটেছি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা স্বত্বেও বিরোধপূর্ণ জমির গাছ কাটা যায় কিনা? জানতে চাইলে চেয়ারম্যান কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
একজন চেয়ারম্যান কিভাবে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে নিরীহ মানুষের সম্পদ দখল করেন? রক্ষক যদি ভক্ষকের ভূমিকা নেয় সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? এমন প্রশ্ন এলাকার সচেতন মহলের।