শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | জাতীয় | ঢাকা | বিভাগের খবর | শিরোনাম | সর্বশেষ » অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে অভ্যন্তরীণ সম্পদের জোগান অপরিহার্য-রাষ্ট্রপতি।। লালমোহন বিডিনিউজ
অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে অভ্যন্তরীণ সম্পদের জোগান অপরিহার্য-রাষ্ট্রপতি।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে অভ্যন্তরীণ সম্পদের পর্যাপ্ত জোগান অপরিহার্য। তিনি বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির এ যুগে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণের উৎস হিসেবে আয়করের গুরুত্বও প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি জাতীয় আয়কর দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) এ কথা বলেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে আজ শনিবার জাতীয় আয়কর দিবস পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে আবদুল হামিদ এ উপলক্ষে সম্মানিত করদাতা ও কর বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, পৃথিবীর সকল উন্নত রাষ্ট্রের রাজস্বের প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচিত হয় ‘প্রত্যক্ষ কর বা আয়কর’।
বাংলাদেশ রূপকল্প-২০২১ এবং রূপকল্প-২০৪১ এর পথ ধরে সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে বাস্তবায়িত হচ্ছে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের মতো মেগা প্রকল্প। আর এ সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সফল বাস্তবায়নে দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে আয়কর প্রদানকারীর সংখ্যা এবং আয়কর খাতে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, আয়কর কেবল রাজস্ব আহরণেরই প্রধান খাত নয়; ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে সম্পদের বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়ও কার্যকরী একটি মাধ্যম।
তিনি মনে করেন ‘সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’-এই স্লোগান সামনে রেখে এ বছর জাতীয় আয়কর দিবসের নির্ধারিত প্রতিপাদ্য ‘কর প্রদানে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, নিশ্চিত হোক রূপকল্প বাস্তবায়ন’ অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে।
আবদুল হামিদ বলেন, আয়কর সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়কর বিভাগ জাতীয় আয়কর দিবস উদযাপন, আয়কর মেলা ও আয়কর সপ্তাহ আয়োজনসহ বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক পদপে গ্রহণ করেছে। এর মধ্য দিয়ে আয়কর নিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি দেশে কর সংস্কৃতির লালন ও বিকাশ ত্বরান্বিত হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।