রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | জেলার খবর | ভোলা | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাশনে জড়ো বাতাসে বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত, আহত ১৬।।লালমোহন বিডিনিউজ
ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাশনে জড়ো বাতাসে বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত, আহত ১৬।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলায় জড়ো বাতাসে অনেক বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১৬ জন আহত হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লালমোহনের পশ্চিম চর উমেদ কলেজ পাড়া ও লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়ন এবং চরফ্যাসনের ওসমানগঞ্জ ও এওয়াজপুর ইউনিয়নের এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন, পশ্চিম চর উমেদ ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ মাল, তার ছেলে ইমরান ও তিশান। একই উপজেলার লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের চর পেয়ারীমোহন গ্রামের সাজেদা বেগম, তারেক, আরিফ, শরিফ ও মোস্তাফিজ। এদের মধ্যে তারেকের অবস্থা অশংকাজনক বলে জানিয়েছে স্থানীয় চেয়ারম্যান । এদের কয়েকজনকে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।তারপর আশংকাজনক হওয়ায় একজনকে ভোলা সদর হাসপাতালের পাঠানো হয়।
লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের বাসিন্দা সাইদুল আলম জানান, রাত সারে ৯টার দিকে বাহিরে বিকট আওয়াজ শুনতে পায়। মুহুর্তের মধ্যে ঘর্ণিঝড়ে ওই এলাকার রশিদ মালসহ একই বাড়ির আরও দুইটি ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়। এসময় বাড়ির গাছপালাও উপড়ে পরে।
তিনি আরও জানান, একই সময়ে ওই ইউনিয়নের পাশের এলাকা চরফ্যাশনের ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আব্দুল মোতালেব ও তার ছেলে মামুন ও বিল্লালের ঘরগুলোও বিধ্বস্ত হয়েছে এবং পাশের আরেকটি বাড়ির আব্দুল মুনাফের বসত ঘরটিও বিধ্বস্ত হয়। এসময় ওই এলাকার রাস্তার গাছপালাও উপড়ে পরেছে বলে জানান তিনি। এতে ৩/৪ জন আহত হয়েছে।
অপরদিকে লালামোহন উপজেলার লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া
জানান, তার ইউনিয়নের চর পেয়ারীমোহন গ্রামে টর্নেডোর আঘাতে ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে প্রায় ১২ - ১৪ জন আহত হয়েছে। এসময় ১০ থেকে ১২টি ঘর বিধ্বস্ত হয়। অনেক পানের বরের ক্ষতি হয়েছে, বেরীবাধের অনেক কাচা ঘড়বাড়ি ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়াও চরফ্যাসন উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৭নং ওয়ার্ডের সাতটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় এলাকার রাস্তাঘাটের গাছপালা উপরে পরে বলেও জানান তিনি।
লালামোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি জানান আমরা সরজমিনে গিয়েছি ঘড়বাড়ির অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আহত হয়েছে কয়েকজন। তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতির নিরুপনের কাজ চলছে। অন্যদিকে মাছ ধরতে গিয়ে মেঘনায় একটি ট্রলার ডুবির খবর পাওয়া গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।