বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | চরফ্যাশন | জেলার খবর | তজুমদ্দিন | দক্ষিণ আইচা | দৌলতখান | ফটোগ্যালারী | ফিচার | বরিশাল | বিভাগের খবর | বোরহানউদ্দিন | ভোলা | মনপুরা | লালমোহন | শশীভূষণ | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় আখের ভাল ফলন, দাম কম হওয়ায় বিপাকে কৃষকরা।। লালমোহন বিডিনিউজ
ভোলায় আখের ভাল ফলন, দাম কম হওয়ায় বিপাকে কৃষকরা।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ ভোলা প্রতিনিধি : এ বছর ভোলায় রোগ ও পোকার আক্রমণ ছাড়াই আখের ভাল ফলন হয়েছে। তবে চাষিদের অভিযোগ দাম কম। মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে বলে মনে করছেন আখ চাষিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ৭ উপজেলায় ৭৬০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করা হয়। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩৫ হাজার ৭২০ মেট্রিক টন। কিন্তু এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এ বছর জেলার ৭ উপজেলায় আখের আবাদ হয়েছে ৮২৪ হেক্টর জমিতে।
এরমধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ১০০ হেক্টর, দৌলতখান উপজেলায় ২০ হেক্টর, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ১৩০ হেক্টর, তজুমদ্দিন উপজেলায় ৩২ হেক্টর, লালমোহন উপজেলায় ৬৫ হেক্টর, চরফ্যাশন উপজেলায় ৪৭০ হেক্টর এবং মনপুরা উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়। এসব জমিতে সর্বমোট ৩৯ হাজার ৫৫২ মেট্রিক টন আখ চাষাবাদ হয়েছে। এ বছর হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ৪৮ মেট্রিক টন।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষকের বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেতে আখের সমারোহ। আখ কাটা, সংগ্রহ আর বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। তবে পাইকারি বাজারে আখের দাম কম হলেও খুচরা বাজারে আখের দাম অনেক বেশি।
ভোলা সদরের ইলিশার এলাকার হোসেন বলেন, এ বছর ২০ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছি। পুরো জমিতে আখের আবাদ অনেক ভালো হয়েছে। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে দ্বিগুন লাভ হবে। বিগত বছরের তুলনায় এবার দাম কম হলেও ফলন ভাল হওয়ায় লাভ অনেক বেশি।
আখ চাষি মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, ৮ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করতে গিয়ে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলন বিগত বছরের চেয়ে অনেক ভালো। বাজারে ২০ হাজার টাকার আখ বিক্রি হবে। তবে গত বছরের চেয়ে বাজার দাম একটু কম থাকায় ভাল কম হচ্ছে।
আখের আড়তদার মো. ইয়ামিন মিয়া বলেন, এ বছর আখের ফলন ভালো থাকায় বাজারে সরবরাহ বেশি। কেনা-বেচাও ভালো হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, ফলন ভালো হওয়ায় আখ আবাদে কৃষকদের আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। তাই আখ চাষিরা অনেক খুশি।