মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর | বোরহানউদ্দিন | শিরোনাম | সর্বশেষ » বোরহানউদ্দিনে ১টি কার্লভাটের জন্য ভেস্তে যাচ্ছে ৩ হাজার মানুষের চলাচলের রাস্তা।।লালমোহন বিডিনিউজ
বোরহানউদ্দিনে ১টি কার্লভাটের জন্য ভেস্তে যাচ্ছে ৩ হাজার মানুষের চলাচলের রাস্তা।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ,বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে মাহবুবুল আলম চৌধুরী বাড়ীর দরজা হতে মুরহুম আদম আলী খান বাড়ীর দরজা পর্যন্ত (১৪৫০ মিটার এইচ বিবি প্রকল্প করনের) হেরিং বন্ড রাস্তাটির প্রায় ১৫০ ফুট আজ পানিতে ভেস্তে যাচ্ছে। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার লোক চলাচল করছে।
মাত্র কয়েক মাস আগে হেরিং বন্ড (ইট) দিয়ে তৈরি করা রাস্তাটির নিদ্দিষ্ট স্থানে কার্লভাট না থাকায় এ পরিস্থিতি দেখা দেয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আদম আলী খান বাড়ীর দক্ষিন পাশে পূর্বে একটি কালর্ভাট ছিল। নতুন কাজ করার সময় সেটি ভেঙ্গে ফেলা হয় । ও সেখানে নতুন কার্লভাট না করায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় ।
এখন নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে রাস্তাটির উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এবং রাস্তাটির কিছু অংশ ভেঙ্গে পরে। যার ফলে স্থানীয় লোক, স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পরছেন চরম দুর্ভোগে। রাস্তার দু পাশে পানি সরার জায়গা না থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা, আ:কাদের, কালাম খান, আবুল হোসেন তালুকদার, শাহে আলম এবং শফিউল্লাহ সিকদারসহ আরো অনেকে জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে রাস্তার মাঝ খান দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় যার কারনে সেসময় আমরা ও আমাদের স্কুল পড়ুয়া সন্তানরা রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে পারি না।
তাই সরকারের কাছে ও সংশ্লিষ্টদের কাছে আমাদের দাবি যাতে রাস্তাটির আগের জায়গায় পূনরায় একটি কালর্ভাট স্থাপন করে আমাদের দুর্ভোগের অবসান ঘটায়।
একই এলাকার বাসিন্দা লিটন এর ছেলে ও মোজাম্মেল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র জিহাদ জানায়, অতি বর্ষার সময় ও জোয়ারের পানি বেশি হলে আমরা এখান দিয়ে আসতে পারিনা ৷ স্কুলে যেতে আমাদের অনেক সমস্যা হয় ৷ একই স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র মোস্তফা সিকদারের ছেলে সোহেব হোসেন বলে, বর্ষার সময় আমরা যখন এখান দিয়ে রওয়ানা করি তখন অনেক সময় বই পুস্তক নিয়ে পড়ে যাই ৷ যাতে জামা কাপড় ও বই পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায় ৷ চরগঙ্গাপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্র সিয়াম জানায়, যখন প্রচন্ড বর্ষা হয় তখন আমরা এই জায়গা দিয়ে যেতে পারিনা ৷ অনেক দূর দিয়ে ঘুরে মাদ্রাসায় যেতে হয় ৷ ফলে, সঠিক সময়ে ক্লাশে উপস্থিত হতে পারিনা ৷ এছাড়া সেখানে একটি প্রাইমারী স্কুল থাকায় ছোট বাচ্ছারা সঠিক সময়ে স্কুলে পৌছাতে পারেনা ৷
এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান মহিবুল্লাহ মৃধার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মোবাইল বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লিংকন চৌধুরী বলেন, কার্লভাট থাকা অবস্থায় ও এমন জলাবদ্ধাতা সৃষ্টি হত ও রাস্তার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হত । কিন্তু এবছর কার্লভাট না থাকায় সমস্যাটা বেশি হয়ে দাড়িয়েছে।
কিন্তু এটার স্থায়ী সমাধান করতে হলে উক্ত স্থানে এখন স্থাপনের পাশাপাশি সকল এলাকার পানি সরানোর জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা দরকার।
তিনি আরো জানান, এক বছর আগে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আমরা একটি আবেদন জমা দিয়েছিলাম কিন্তু সেটা এখনো কোন কাজ হয়নি