বর্ষা এলেই বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ রাজধানী ছাড়িয়ে বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু।। লালমোহন বিডিনিউজ

লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্ক : বিগত বছরগুলোর মতো এবারও বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। রাজধানীর ডেঙ্গু পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে এবং বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা।
তবে, রাজধানীর পর এখন দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে ডেঙ্গু জ্বর। চাঁদপুর, গাইবান্ধা ও ময়মনসিংহের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও এডিস মশা নিধনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন এসব জেলার বাসিন্দা। তবে, জ্বর হলে আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
গত দেড় মাসে চাঁদপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। এদের মধ্যে ১২ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে। আর, অন্তত ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়।
ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই জানান তারা ঢাকাতেই ছিলেন সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। আর বাকিরা নিজ এলাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়ার পরও এডিস মশা নিধনে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। চাঁদপুর পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে মশা নিধনের জন্য ফগার মেশিন আছে ৩টি। ভবিষ্যতে আরও কয়েকটি মেশিন কেনার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ছিদ্দিকুর রহমান ঢালী বলেন, ‘এডিস মশা ধ্বংস করতে যথাযথ সময়ে যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন, আমরা তার সবই গ্রহণ করব।’ পরিস্থিতি বিবেচনায় ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা বেডের ব্যবস্থা করার ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন নারীসহ তিন ডেঙ্গু রোগী।
গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ মাহাফুজুর রহমান, ডেঙ্গু রোগীদের সব সময় মশারী ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘যাতে ডেঙ্গু রোগীদের কামড়ানোর পর ওই মশা অন্য কাউকে কামড়াতে না পারে। এতে ডেঙ্গুর জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।’
অন্যদিকে, ময়মনসিংহেও ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অন্তত ৫ জন।