বুধবার, ১৯ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | তজুমদ্দিন | বরিশাল | বিভাগের খবর | শিরোনাম | সর্বশেষ » তজুমদ্দিনে উপজেলা পরিষদের সরকারী কোয়াটার প্রাইমারী শিক্ষকের দখলে।। লালমোহন বিডিনিউজ
তজুমদ্দিনে উপজেলা পরিষদের সরকারী কোয়াটার প্রাইমারী শিক্ষকের দখলে।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, তজুমদ্দিন প্রতিনিধি : ভোলার তজুমদ্দিনে প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমিতির প্রভাব খাটিয়ে উপজেলা পরিষদের ৪টি কোয়াটার দখলে রেখেছেন প্রাইমারী শিক্ষকরা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সহকারী শিক্ষকদের নামে বরাদ্ধ নিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ বিভিন্ন ব্যক্তির দখলে রয়েছে এসব কোয়াটার।
এ দিকে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কোয়াটার না পাওয়ায় দূর-দূরান্তে পরিবার নিয়ে অবস্থান করায় ব্যাঘাত ঘটছে অফিসিয়াল কাজ-কর্মে।
সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলা পরিষদের সরকারী কোয়াটারগুলো বহিরাগতরা দখল করে রাখায় সরকারী কর্মকর্তারা বাসা বাড়ি বরাদ্ধ না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে দূর-দূরান্তে বসবাস করছেন। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তজুমদ্দিন উপজেলা প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকরা দখল করে রেখেছেন এসব কোয়াটারগুলো। অরুন্ধুতি কোয়াটারে বরাদ্দ রয়েছেন শশীগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সাবানা বেগম। চাঁদপুর করিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম। কানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্বাস উদ্দিন। মোহনা কোয়াটারে রয়েছেন চাঁদপুর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শ্যামলী বিশ্বাস। অরুন্ধুতিতে সাবানা বেগমের কোয়াটারে গিয়ে দেখা যায় সেখানে স্বপরিবারে বসবাস করছেন তজুমদ্দিন উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও শশীগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফরহাদ হোসেন।
জানা গেছে গোডাইন রোডে উপজেলা পরিষদের ৫০ গজের মধ্যে ফরহাদ হোসেনের দোতালা বাড়িটি অধিক মূল্যে অন্যের কাছে ভাড়া দিয়ে নিজে প্রধান শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও ভাড়া ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যে সহকারী শিক্ষিকা সাবানা বেগমের নামে বরাদ্দ নেয়া বাসায় প্রভাব খাটিয়ে দখলে রেখেছেন। উপজেলা পরিষদের বাসা ভাড়া কমিটির একজন সদস্য জানান, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বাহিরে অন্যদের কাছে সরকারী কোয়াটার ভাড়া দেয়ার নিয়ম নেই।
সহকারী শিক্ষিকা সাবানা বেগম জানান, এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। আমি বাসা ভাড়া নেয়ার জন্য উপজেলা পরিষদে কোন আবেদন করি নাই।
প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরহাদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষিকার নামে বাসা বরাদ্দ নেয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আরো অনেক শিক্ষকের নামে বাসা বরাদ্ধ আছে। আমরা আবেদন করেছি পরিষদ বরাদ্দ দিয়েছে। নিয়মনীতির বিষয়ে আমাদের জানা নেই।
উপজেলা বাসা ভাড়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সাদ জগলুল ফারুক বলেন, আমি নিজেই কোয়াটার না পাওয়ার কারণে অসুবিধায় আছি। বিগত দিনে কিভাবে কি হয়েছে তা আমার জানা নাই। তবে আগামী দিনে কোয়াটারগুলোকে সরকারী বাসাভাড়া নীতিমালার আওতায় আনার চেষ্টা করবো।