বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০১৯
প্রথম পাতা » জাতীয় | ঢাকা | বিভাগের খবর | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » রোহিঙ্গাদের সহায়তায় জাতিসংঘের চার সংস্থা।। লালমোহন বিডিনিউজ
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় জাতিসংঘের চার সংস্থা।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ঢাকা : রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য ৫ কোটি ডলার দেবে জাতিসংঘের চার সংস্থা। এ জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে চারটি সংস্থার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ডাব্লিউএইচও, ইউনিসেফ, ইউএনএফপিও, আইওএম’র সঙ্গে এই চুক্তি হয়। এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তিতে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) বাংলাদেশের প্রতিনিধি বার্দান জাং রানা, জাতিসংঘের শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ অ্যাডওয়ার্ড বিগবেদার, জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) প্রতিনিধি আশা টোরকেলসন, জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মিশন প্রধান জিওর্জি গিগৌরী স্বাক্ষর করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংক রোহিঙ্গাদের সাহায্য সহযোগিতার জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। আরও অর্থ দেয়ার কমিটমেন্ট তারা করেছে। আজকেই এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে আমরা ৫০ মিলিয়ন (৫ কোটি) ডলার পাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘সহায়তার অর্থের ৩৫ মিলিয়ন ডলার চারটি সংস্থা- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, ইউএনএফপিও, আইওএম’র নিজেরা রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয় করবে। আর রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয় করতে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ১৫ মিলিয়ন ডলার দেয়া হবে। এই অর্থ রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার জন্য ব্যয় হবে। চিকিৎসার জন্য, থাকার জন্য, তাদের ঘরবাড়ি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজ, যা রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার করে যাচ্ছে। সেই খাতে ব্যয় হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গাদের করুণ অবস্থায় পেয়েছি। তারা শিক্ষা ও চিকিৎসা বঞ্চিত ছিল, শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছে। মা ও শিশুরা বেশি নির্যাতিত। সেখানে তো সাড়ে ৩ লাখ শুধু শিশুই রয়েছে। এখন বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। তাদের সাহায্য-সহযোগিতা আমরা করে যাচ্ছি। জাতিসংঘের বিভিন্ন বডিও সাহায্য করে যাচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে, প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গারা সেখানে থাকতে পারবেন। সেখানে আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ক্লিনিক তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও অন্যান্য কাজগুলো করে যাচ্ছে। আমরা রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাই, তারা অতি শিগগিরই তাদের দেশে ফিরে যাক। আমাদের সেই চেষ্টা থাকবে।