মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » জনগনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে মেজর হাফিজ কে সংবাদ সম্মেলনে- নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।।লালমোহন বিডিনিউজ
জনগনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে মেজর হাফিজ কে সংবাদ সম্মেলনে- নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ,মিজানুর রহমান লিপু : ভোলা-৩ লালমোহন ও তজুমদ্দিন আসনের নৌকার প্রার্থী আলহাজ¦ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন সংবাদ সম্মেলনে মেজর হাফিজকে একজন খুনি, অত্যাচারী ও নারী নির্যাতনকারী হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধা ৭ টায় থানা মোড় আওয়ামীলীগ অফিসে সংবাদ সম্মেলনে বলেন
২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী মেজর হাফিজ বাহিনীর নির্যাতনের শিকারমহিলাদের তোপের মুখে ধানের শীষ প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারনা বন্ধ করতে বাধ্য হয়ে এখন তিনি আবল তাবল বলছেন। মঙ্গলবার সকালে ধানের শীষ প্রার্থী মেজর হাফিজ নির্বাচনী প্রচারনায় তার বাসা থেকে বের হলে শতশত নির্যাতিত মহিলারা তাকে বাধা প্রদান করেছেন বলে আমি শুনেছি। অথচ হাফিজ অতীতের তার কৃতকর্মের জন্য জনগনের রোশানলে পরে এবং জনবিচ্ছিন্ন হয়ে প্রচার কাজ চালাতে পারছেন না। তিনি আরো বলেন মেজর হাফিজ নিজ হাতে আলম বাজার খোরশেদকে হত্যা করে, তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে গজারিয়ার মালেকের চোখ তুলে ফেলে, ৮ বছরের রিতা রানীতে তার বাবার সামনে রাতভর নির্যাতন করে রক্তাক্ত করে। সে সকল নির্যাতিত লোকেরাই তাদের ক্ষতিপুরন চেয়ে প্রতিনিয়ত তার বাসার সামনে বিক্ষোভ করে। সম্মেলনে তিনি বলেন আওয়ামীলীগের কোন নেতা কর্মীকে
আমি এমন শিক্ষা দেইনি যে, তারা প্রতিপক্ষকে নির্বাচনের প্রচারনা বাধা প্রদান করবে। মেজর হাফিজ তার মৌমাছি বাহিনী, ট্রর্নেডো বাহিনী, বীরবিক্রম বাহিনী ও মার্শাল বাহিনী দিয়ে যাদের বাড়ী লুটপাট, গরু ছাগল,পুকুরের মাছ, গাছ সহ ব্যাপক ধংসযজ্ঞ চালিয়েছেন সেই ক্ষতিগ্রস্থ লোকেরাই আজকে তাকে বাধা প্রদান করছে। শাওন আরো বলেন গত ১৫ডিসেম্বর মেজর হাফিজ লালমোহনে এসেই বিএনপির বহিরাগত ক্যাডার দিয়ে আওয়ামীলীগের ২৬জন নেতা কর্মীকে মারাত্মক যখম ও ৩টি হুন্ডা পুড়িয়ে দেন। তিনি এখনো
সন্ত্রাসী কায়দায় জনগনের কাছ থেকে ভোট আদায় করার কৌশল ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। আমার বা আমার দলের কোন লোক তার নির্বাচনী কাজে বাধা প্রদান করেন নাই। মেজর হাফিজের অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নৌকার প্রার্থী শাওন বলেন তাকে নির্বাচন করতে হলে অতীতের কর্মকান্ডের জন্য মিডিয়ার সামনে জনগনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আগামী ৩০ তারিখের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমোহন ও তজুমদ্দিনের জনগন মেজর হাফিজের জামানাত বাজেয়াপ্ত করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।