বুধবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | তজুমদ্দিন | বরিশাল | বিভাগের খবর | রাজনীতি | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনের বিএনপি অধ্যুষিত নয়ানীগ্রাম আওয়ামী ঘাটিতে পরিণত।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনের বিএনপি অধ্যুষিত নয়ানীগ্রাম আওয়ামী ঘাটিতে পরিণত।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধি : লালমোহন ও তজুমদ্দিন এ দুটি উপজেলা নিয়ে গঠিত ভোলা-৩ আসন। দু টি উপজেলার মধ্যে লালমোহন উপজেলা কে নিয়েই মূলত এ আসনটির রাজনীতি। প্রথমত: এ উপজেলার ভোটার সংখ্যা তজুমদ্দিন উপজেলার দ্বিগুণ। দ্বিতীয়ত: প্রতিবারই সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি দলের মনোনীত প্রার্থীই ছিলেন এ উপজেলার বাসিন্দা। তাই তাদের জয়ের ব্যাপারে এ উপজেলাটি থাকে আলোচনার দ্বারপ্রান্তে। আর লালমোহন উপজেলার সদর বাজারের পাশেই লালমোহন পৌর ৪নং ওয়ার্ড এলাকা নয়ানীগ্রাম। বিগত দু যুগেরও বেশি সময় ধরে নয়ানীগ্রামটি ছিল বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা বা বিএনপির প্রার্থী মেজর অব: হাফিজ উদ্দিন আহমেদর আখড়া।
এলাকাটি সন্নিকটে উত্তর পাশে থানা, পশ্চিমে পৌর ভবন এবং দক্ষিণে উপজেলা পরিষদ। তাই এ এলাকাটিকে ঘিরে সব দলের আগ্রহের ও কমতি নেই। পৌর ও উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের শীর্ঘ নেতৃবৃন্দগণও ছিলেন এ এলাকার বাসিন্দা। সময়ের পরিক্রমায় এলাকাটি এখন আওয়ামীলীগ প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন তথা আওয়ামীলীগের শক্ত ঘাটিতে পরিণত হয়েছে।
আওয়ামীলীগ ও বিএনপি রাজনৈতিক মাঠে ভিন্ন মতের হলেও এলাকাটির পট পরিবর্তনের কারণ নিয়ে দু-দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেক নেতার মতামত অভিন্ন।
আওয়ামীলীগের অনেক নেতার মতে, ২০১০ সাল পরবর্তী লালমোহন ও তজুমদ্দিন আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার কর্মীবান্ধব মনোভাব, রাজনৈতিক সূ-কৌশল ও সদর এবং তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বিপদাপদে ছায়ার মত পাশে থাকার কৌশলে মূগ্ধ হয়ে পুরো উপজেলার মত এ এলাকার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিএনপির প্রায় সকল নেতাকর্মীই আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন।
আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতারা আরো বলেন, শাওন সংসদ সদস্য হয়ে আসার পর দুস্থ কে সাহায্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে মেজর অব: হাফিজের মত তার রাজনৈতিক পরিচয় দেখেননি। মানুষ হিসেবে দেখেই তার পাশে দাড়িয়েছেন বলেই বিএনপি ঘাটি খ্যাত নয়ানীগ্রামই শুধু নয়, পুরো লালমোহন ও তজুমদ্দিন এলাকাটিই এখন আওয়ামীলীগের শক্ত ঘাটি।
অপরদিকে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীও অভিন্ন মতামত ব্যক্ত করে বলেন, লালমোহন সরকারী শাহবাজপুর কলেজের সাবেক ভিপিও বিএনপি শীর্ষ নেতা প্রয়াত এম কামাল পারভেজ যখন সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন তখন মেজর অব: হাফিজ ছিলেন মন্ত্রী।
কামাল পারভেজ কে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা প্রদানের জন্য দ্রুত হেলিকপ্টার পাঠানোর জন্য মেজর হাফিজকে অনুরোধ করেছিল স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ নেতারা। কিন্তু তিনি তা করেননি। ফলে অকালে মৃত্যুবরণ করেন এম কামাল পারভেজ। কিন্তু আওয়ামীলীগ সাংসদ শাওন সংসদ সদস্য হয়ে ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের একজন মেম্বার প্রার্থী মো. জাকিরের দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজনে ঢাকা নেওয়ার প্রয়োজন পরায় নিজ উদ্যোগে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন শাওন। তাই প্রয়াত এম কামাল পারভেজের ভাই বিএনপি নেতা মিজান হাওলাদার আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। সর্বোপরি মানুষ কে মানবিকতা দেখানোর ফলেই শাওন আজ মূল্যায়িত তাই তিনি আজ মানুষের পাশে। আর কমীশুণ্য হয়ে মেজর অব: হাফিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকায়।