মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | তজুমদ্দিন | বরিশাল | বিভাগের খবর | রাজনীতি | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে বিএনপি নেতাকর্মীদের আ’লীগে যোগদানের হিড়িক।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে বিএনপি নেতাকর্মীদের আ’লীগে যোগদানের হিড়িক।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোলা-৩ লালমোহন ও তজুমদ্দিন আসনে বিএনপি নেতাকর্মীগণ আওয়ামীলীগে দলে দলে যোগ দিচ্ছেন। ফলে ২০০৮ সালের পূর্বে বিএনপি ঘাটি খ্যাত এ আসনটি এখন বিএনপি শূন্যতায় ভূগছে। দলটির উপজেলা ও পৌরসভার শীর্ষ নেতারা এখন আওয়ামীলীগের কর্মী। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মেজর অব: হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এ আসন থেকে স্বতন্ত্র, জাতীয় পার্টি ও বিএনটি প্রার্থী হয়ে মোট ছয়বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মেজর অব: জসিম উদ্দিনের কাছে ধরাশায়ী হন তিনি। ধরাশায়ী হলেও তার নেতাকর্মীগণ ছিল উজ্জীবিত। কিন্তু একটি মামলায় আদালতের রায়ে মাত্র দেড় বছরের মাথায় সংসদ সদস্য পদ হারান মেজর অব: জসিম উদ্দিন আহমদ। ফলে শূন্য হওয়া আসনটিতে ২০১০ সালে উপনির্বাচনের মাধ্যমে এ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। শাওনের রাজৗনতিক কৌশল ও কর্মী বান্ধব দক্ষতা আর এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে মুগ্ধ হয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান শুরু করে এ আসনের দু উপজেলা তজুমদ্দিন ও লালমোহন বিএনপি নেতাকমীগণ। ফলে কর্মী শূন্য হয়ে দীর্ঘদিন এলাকা ছেড়ে ঢাকায় পড়ে থাকেন মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ। অবশ্য লালমোহন উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতারা বলছেন, মেজর অব: হাফিজ উদ্দিন আহমদ ২০০১ সাল পরবর্তী লালমোহন ও তজুমদ্দিনের মানুষের উপর জোর জুলুম অত্যাচার করায় ২০০৮ তাকে বিতাড়িত করেছে এলাকার সাধারণ জনতা। আর সেজন্যই তিনি এলাকায় আসেননি।
২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও জাতীয় পার্টি প্রার্থীকে হারিয়ে এ আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শাওন।
তার সংসদ সদস্য লাভের এ ৮বছরে লালমোহন ও তজুমদ্দিন বর্তমানে বিএনপি শূন্য হয়ে আওয়ামীলীগের শক্ত ঘাটিতে পরিণত হয়েছে।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন। বিএনপি থেকে মেজরঅিব: হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও এড. কামাল উদ্দিন। আগামী ৩০ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ। অথচ লালমোহনে বিএনপির এ দু প্রাথীর কারোরই দেখা নেই।
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই বিএনপির অবশিষ্ট নেতাকমীগণ নৌকা মার্কার বিজয়ের লক্ষে সাংসদ শাওনের হাতে হাত রেখে যোগ দিচ্ছেন আওয়ামীলীগে।
তফসিল ঘোষণা পরবর্তী উপজেলা ছাত্রদল আহবায়ক মোঃ শামসুদ্দিন জসিম, পৌর ছাত্রদল আহবায়ক শেখ জামাল, কালমা ইউনিয়ন যুবদল নেতা আবদুর রহমান নোমান, পৌর স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি মোঃ বাশার,ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ফারুক হাওলাদার,পৌর বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জু পাটোয়ারীসহ তজুমদ্দিন উপজেলার অনেক বিএনপি নেতাগণ।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা বলছেন, নেতাকর্মী শূন্য বিএনপি প্রার্থীকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে তৃতীয়বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।