লালমোহনে স্বামীর পর স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা।।লালমোহন বিডিনিউজ

লালমোহন বিডিনিউজ : লালমোহনে স্বামীর পর স্ত্রীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করেছে প্রতিপক্ষ। শুক্রবার ভোর ৬ টায় উপজেলার চরকচ্ছপিয়া ৯নং ওয়ার্ডের চকিদার বাড়ীর নিরব চকিদারের স্ত্রী রানু বিবিকে একই বাড়ীর ইদ্দিছ মাষ্টারের মেয়ে শাহানাজ,মাহমুদা, সুবর্না, সেলীনা,কামাল , রাসেল, জসিম,জসিমের মেয়ের সাথী সহ ৮/১০ জনে হঠাৎ আক্রমন করে দা বটি দিয়ে কোপায়। কোপের আঘাতে তার মাথা ও হাতে ব্যাপক জথম হয়। লোকজন তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় তাকে লালমোহন সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এব্যাপারে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মহসিন বলেন তার মাথায় ও হাতে কোপের আঘাত রয়েছে। রানু বিবি বলেন, আমি সকালে ঘুম থেকে উঠে জসিমের ঘরের সামনে দিয়ে পুকরে যাওয়ার সময় হঠাৎ শাহনাজ আমাকে আক্রমন করলে মুহুর্তের মধ্যে মাহমুদা, সুবর্না, সেলীনা, রাসেল, জসিম ও জসিমের মেয়ে সাথীরা আমাকে লাঠি সহ টর্চ লাইট দিয়ে এলোপাতারী ভাবে মারতে থাকে এবং শাহনাজ বটি দিয়ে আমাকে কোপাতে থাকে । তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিলে আমি অনেকগুলো কোপ হাত দিয়ে ঠেকাতে পারলেও একটি কোপ আমার মাথায় লাগে । তারা আমার হাত সহ শরীরের বিভিন্ন যায়গায় কোপ সহ লাঠি দিয়ে ব্যাপক জখম করে। এছাড়াও গত কয়েক দিন পূর্বে ইদ্দিছ মাষ্টার সহ তার ছেলে মেয়েরা তার স্বামী নিরবকে কয়েক দফা মারপিট করে । নিরব হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে মাত্র বাড়ী আসলে ইদ্দিছ গং রা তার স্ত্রীকে আবারো হত্যা চেষ্টা চালায়। এলাকা সুত্রে জানাযায় ইদ্দিছ মাষ্টার সহ তার ছেলে মেয়েরা বিএনপি জোট সরকারের আমালে এলাকার নিরিহ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর জোর জুলুম করে। বর্তমানে আবারো এ সরকারের শেষ সময়ে নিরিহ আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের বিভিন্নভাবে গায়েল করে সন্ত্রাসের রাজত্ব্য কায়েম করতে চাচ্ছে। এব্যাপারে এলাকার মেম্বার অলি হাওলাদার, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধার সম্পাদক নান্নু মিয়া, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি/ সম্পাদক, সহ সকল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করে বলেন ইদ্দিছ মাষ্টার ও তার ছেলে মেয়েরা বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত। তারা বিভিন্নভাবে আওয়ামীলীগ সমর্থকদের উপর এভাবেই হয়রানী করে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্বে ব্যাবস্থা নিতে মাননীয় সংসদ আলহাজ¦ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এমপি মহোদয়ের হস্থক্ষেপ কামনা করেন। এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন বিএনপি করেও বর্তমান সময়ে ইদ্দিছ গংরা আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার করার সাহস পায় কিভাবে ? তাদের খুটির জোর কোথায়?