মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে মামলা থেকে বাঁচতে গুমের ষড়যন্ত্র করছে প্রতিপক্ষ।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে মামলা থেকে বাঁচতে গুমের ষড়যন্ত্র করছে প্রতিপক্ষ।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ : লালমোহনে প্রতিপক্ষের মামলা থেকে নিজেকে বাচঁতে গুমের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাযায়, উপজেলার চর কচ্ছপিয়া ৯ নং ওয়ার্ডের চকিদার বাড়ীর মৃতঃ আঃ করিমের পুত্র ইদ্দিছ চৌকিদার এলাকার একজন মামলাবাজ হিসেবে খ্যাতি অর্জনকারী। গত শুক্রবার তিনি সহ তার ছেলে কামাল ওরফে রাশি কামাল, জসিম, রাসেল, কাজল ও নাতী সবুজ মিলে এ্কই বাড়ীর আফাজ উদ্দিনের ছেলে নিরব ,আলম ও সিরাজকে কয়েক দফায় মারপিট করে। এব্যাপারে নিরবের ভাই আলম বাদী হয়ে ইদ্দিছ সহ তার ছেলেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা থেকে বাচঁেত ইদ্দিছ গংরা নতুন কৌশল হিসেবে গুমের ফন্দি আটছে বলে এলাকার অনেকে অভিযোগ করেন। এলাকা সুত্রে জানাযায়, ৩০ অক্টোবর মঙ্গলবার আলমের দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতবাড়িয়া বাজারে গিয়ে বলেন, তার কাছে ফোন করে বলা হয়েছে কামাল ওরফে রাশি কামালকে গুম করা হয়েছে। যে রাশি কামালকে গুম করার সংবাদ দেওয়া হয়েছে তাকে ঐদিন সন্ধার পর তার নিজ বাড়িতে দু জন অপরিচিত লোক সহ অবস্থান করতে দেখা গেছে বলে এলাকার মেম্বার অলি হাওলাদার জানিয়েছেন। এব্যাপারে মেম্বার অলি আহমেদ আরো বলেন, ইদ্দিছ চৌকিদার(মাষ্টার) একজন মামলাবাজ লোক। তিনি বিএনপি জোট সরকারের আমলেও এলাকার আওয়ামীলীগ দলীয় লোকদের উপর ব্যাপক অত্যাচার ও জুলুম চালিয়েছেন। বর্তমানে লালমোহন বাজরের কিছু সরকার দলীয় নেতার সেল্টারে আবারো আওয়াামীলীগের নিরিহ লোকদের উপর অত্যাচার শুরু করেছে। তিনি সহ তার ছেলেরা শুক্রবার দুপুরে বাড়ীতে ব্যাপক মারধর কর্ ে। আবার বিকেল ৪ টায় লালমোহন থেকে ক্যাডার বাহিনী এনে সাতবাড়ীয়া বাজারের মধ্যে নিরবের উপর হামলা করে। মূমূর্ষ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং থানায় মামলা করা হয়। বর্তমানে তারা নতুন ফন্দি হিসেবে গুমের আওয়াজ শুনাচ্ছে। আথচ সে বাড়ীতে আছে এবং আমি নিজে লালমোহন থানার অফিসার্স ইনচার্জ সহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তা অবহিত করেছি। বিষয়টি থানা কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব সহকারে দেখবে বলে আমি আশাকরি। এব্যাপরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জহির বলেন , আমি কামাল সহ আসামীদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছি তাদেরকে পেলেই আইনের আওতায় আনা হবে।