
সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী শ্লীলতাহানীর তদন্ত করল শিক্ষা অফিসার।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী শ্লীলতাহানীর তদন্ত করল শিক্ষা অফিসার।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ : লালমোহনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বামী/ স্ত্রী দুই প্রধান শিক্ষকের অত্যাচারে অতিষ্ট ছাত্র ছাত্রী ও অভিববকরা। উপজেলার লালমোহন-২ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ মালেকের বিরুদ্ধে প্রায় সময়ই ছাত্রী শ্লীলতাহানীর অভিযোগ ওঠে। প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী শ্লীলতাহানীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিবাবকরা বিদ্যালয়ে ঘেরাও করে প্রধান শিক্ষককে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই অভিযোগে শনিবার ১৫ সেপ্টেম্ভর সকাল ১১ টায় বিদ্যালয় চলাকালীন সময় প্রধান শিক্ষক আ: মালেককে ছাত্রীদেরকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে প্রায় ২/৩শ মহিলা/পুরুষ অভিবাবক বিদ্যালয় প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষককে মারপিট করে অভিবাবকরা । তারা প্রধান শিক্ষকের রুম থেকে টেনে হিচড়ে বের করে ধাক্কাতে থাকে। ৫শ্রেনীর এক ছাত্রীর অভিবাবক খালেদা আক্তার বলেন, আমার বোনের মেয়ে আমার কাছে থেকে পড়াশুনা করে। সে কোন অন্যায় করলে শিক্ষক শাস্তি দিবে । প্রধান শিক্ষক মালেক ই্চ্ছা করে তাদের গোপনীয় যায়গায় হাত দেয় যা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এদিকে বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ১০/১২ জন মেয়ে সাংবাদিকদের জানান মালেক স্যার তাদের একা পেলে অথবা পড়ার সময় যে কোন অযুহাতে বুকের মধ্যে হাত দেয়। এভাবে তারা এই শিক্ষকের কাছে নিজেদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পড়াশুনা করতে নিরাপদ মনে করেন না বলে অনেক ছাত্রী অভিযোগ করেন। এ ছাড়াও এই শিক্ষক গত যৌথ বাহিনীর আমলে লালমোহন মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরী করা কালীন সময় ছাত্রী শ্লীলতাহানীর অভিযোগ আসলে নৌ- বাহিনীর সদস্যরা তাকে গাছের সাথে বেধে বেদম মার দেয়। একই অভিযোগ বারবার আসলেও অদৃশ্য শক্তির কারনে বারবার পার পেয়ে যাচ্ছেন এই শিক্ষক। এছাড়াও তার স্ত্রী পূর্ব চর কচ্ছপিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানুর বেগম জ্যেৎসনা প্রায় ২০ বছর এই বিদ্যালয়ে চাকুরী করে বিদ্যালয়কে নিজের বাসা বাড়ির মত ছাত্র ছাত্রী / অভিবাবক ও শিক্ষকদের সাথে আচারন করে যাচ্ছে। তিনি প্রায় সময়ই বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সাথে অশিক্ষক সুলভ আচারন করে যাচ্ছেন । তিনি বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকার সাথে নিকৃষ্টতম আচারন করলে লালমোহন শিক্ষা অফিস সহ উপজেলা শিক্ষা কমিটি তদন্ত করে শাস্তি মূলক বদলী করার সুপারিশ করে । যা জেলা শিক্ষা অফিসার হয়ে বিভাগীয় অফিসারের কাছে যায়। কিন্ত তাও অদৃশ্য শক্তির কারনে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি। জানাযায় এ শিক্ষিকা অপরাধ করার সময় মনে না থাকলেও মাফ পাওয়ার জন্য অফিসারদের ধরপাকরে সামান্য কার্পন্য করেন না। এছাড়াও তিনি বিদ্যালয়ে বরাদ্ধকৃত ক্ষুদ্র মেরামত, সিলিপ,প্রাক-প্রাথমিকের সহ রুটিন ম্যনটেনেজের টাকা বিদ্যালয়ের সভাপতিকে নিয়ে ভাগাভাগী করে আত্বসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। উপড় থেকে তিনি নিজেকে সৎ প্রমান করার অভিনয় করলেও ভিতরে সে একজন লোভী ও জগন্য মহিলা হিসেবে বিদ্যালয়ে সকলের কাছে পরিচিত। রবিবার সকালে লালমোহন শিক্ষা অফিসার পরিমল চন্দ্র বালা অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মালেকের স্কুল পরিদর্শনে যান। এব্যাপারে শিক্ষা অফিসার বলেন , আমি বিদ্যালয়ে নিজে গিয়ে ঘটনা জেনে এসেছি। এব্যাপারে যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে সচেতন মহলের প্রশ্ন আর কত হলে এ দুই শিক্ষক থেকে মুক্তি পাবে কোমল মতি ছাত্র/ ছাত্রী, শিক্ষক ,অভিবাবক ও শিক্ষক সমাজ।