বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | জেলার খবর | তজুমদ্দিন | দক্ষিণ আইচা | দৌলতখান | বোরহানউদ্দিন | ভোলা | মুক্তমত | লালমোহন | শশীভূষণ | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় অর্ধশত বছর পুরোনো বেইলী ব্রিজগুলো যেন মৃত্যুফাঁদ।। লালমোহন বিডিনিউজ
ভোলায় অর্ধশত বছর পুরোনো বেইলী ব্রিজগুলো যেন মৃত্যুফাঁদ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধি : দ্বীপজেলা ভোলা থেকে জেলার দক্ষিণাঞ্চলের চরফ্যাশন পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কে অনেকগুলো ব্রীজ আছে। ব্রিজগুলোর প্রায় ভাগই অর্ধশত বছর পুরোনো। এর মধ্যে ১৯৮৭ সালে নির্মিত পাঁচটি স্টিল কাঠামোর বেইলি ব্রিজ রয়েছে। বর্তমানে এ ব্রীজগুলো যেন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে।
নড়বড়ে ব্রীজ থাকায় পাঁচ টনের অধিক মালবাহী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সাইনবোর্ড নোটিশ দিয়েই দায়সারা দায়িত্ব সারছে জেলার সড়ক বিভাগ। অসংখ্য জোড়াতালি দিয়ে সাময়িক মেরামত করে চলার ব্যবস্থা ব্রিজগুলোকে মৃত্যু ফাঁদে পরিণত করেছে। এখন আর গার্ডার ব্রিজ ছাড়া ভাবা যাচ্ছে না বলে জানান, স্থানীয় জনগন ও সড়ক বিভাগের প্রকৌশলী।
ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজগুলো হলো বাংলাবাজার, বকসে আলী, বোরহানউদ্দিন, ডাওরী ও চরফ্যাসনের শশীভূষণ বেইলি ব্রিজ। জড়াজীর্ণ এ ব্রিজগুলো ভেঙ্গে নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন পরিবহন চালক সহ পথচারীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়েক বছরের চলাচলের জন্য তৈরি করা ৯০ দশকের ব্রীজগুলো আজ আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজগুলো চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। তাই মৃত্যুকে হাতে নিয়েই চলাচল করছে যাত্রীবাহি, মালবাহি যানগুলোর চালকসহ যাত্রীরা।
একটি বাস পার না হওয়া পর্যন্ত মানুষ, রিকশা ও সাইকেল চলতে পারছে না এ ব্রিজে। বর্ষার মৌসুমে বেশি আতঙ্কে থাকতে হয় মোটর সাইকেল আরোহিদের। সামান্য এদিক ওদিক হলেই পিছলে গিয়ে ভয়ংকর দূর্ঘটনার শিকার হয় মোটরসাইকেল। অনেকের জীবনহানীসহ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
এ বিষয়ে ভোলা সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম জানান, ভোলা এখন শিল্পনগরী হিসেবে রূপান্তর হওয়ার পথে। তাই প্রচুর ওভার লোডের ট্রাক, লরি চলাচল করে। বিশেষ করে ভোলায় অনেকগুলো পাওয়ার প্লান্ট তৈরি হচ্ছে। তাই বড় বড় যন্ত্রপাতিসহ প্রতিনিয়ত এরকম ১২-১৮ চাকার লরি আসা-যাওয়া করছে।
এছাড়াও এ অঞ্চল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তরমুজ, ধান ও সবজির গাড়ি সারা বছর চলাচল করে। এ পর্যন্ত প্রতি বছর কেবল মেরামতই করা হচ্ছে। ভোলা জেলা সড়ক বিভাগ এই ৫টি ব্রিজের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যার ডিজাইনের কাজ চলছে। আমরা আশা করছি এ বছরের মধ্যে এর টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারবো।
ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ৮০-৯০ জন যাত্রী নিয়ে দশ-বারো টনের ৬০টি বাস প্রতিদিন বিশ মিনিট পরপর ভোলা থেকে চরফ্যাশন চলাচল করে। দশ ফুটের চওড়া এই বেইলি ব্রিজে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে। ভোলা সড়ক বিভাগের সাথে বার আলোচনা করেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তাই এখন আল্লাহপাকের ওপর ভরসা করে চলছি। যাতে এই ব্রিজগুলো ভেঙে নতুন ভাবে ব্রিজ তৈরি করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সাধারণ যাত্রীরা বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত ভোলা টু চরফ্যাশন রুটে বাসে যাতায়াত করি। বাসের ভেতর থেকে বুঝতে পারি ব্রিজগুলো কতটা নড়বড়ে হয়ে আছে। এর ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। মনে হয়, যেন আশি সিটের বাসটা এখনই মানুষসহ ব্রিজ ভেঙে পড়ে যাবে।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ঝূঁকিপূর্ণ এই বেইলি ব্রিজগুলোকে গার্ডার ব্রিজে রুপান্তর করার জোর দাবি জানিয়েছেন ভোলার যান চালকসহ সাধারণ পথচারীরা।
েি
লালমোহন বিডিনিউজ, নিজস্ব প্রতিনিধি : দ্বীপজেলা ভোলা থেকে জেলার দক্ষিণাঞ্চলের চরফ্যাশন পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কে অনেকগুলো ব্রীজ আছে। ব্রিজগুলোর প্রায় ভাগই অর্ধশত বছর পুরোনো। এর মধ্যে ১৯৮৭ সালে নির্মিত পাঁচটি স্টিল কাঠামোর বেইলি ব্রিজ রয়েছে। বর্তমানে এ ব্রীজগুলো যেন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে।
নড়বড়ে ব্রীজ থাকায় পাঁচ টনের অধিক মালবাহী যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সাইনবোর্ড নোটিশ দিয়েই দায়সারা দায়িত্ব সারছে জেলার সড়ক বিভাগ। অসংখ্য জোড়াতালি দিয়ে সাময়িক মেরামত করে চলার ব্যবস্থা ব্রিজগুলোকে মৃত্যু ফাঁদে পরিণত করেছে। এখন আর গার্ডার ব্রিজ ছাড়া ভাবা যাচ্ছে না বলে জানান, স্থানীয় জনগন ও সড়ক বিভাগের প্রকৌশলী।
ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজগুলো হলো বাংলাবাজার, বকসে আলী, বোরহানউদ্দিন, ডাওরী ও চরফ্যাসনের শশীভূষণ বেইলি ব্রিজ। জড়াজীর্ণ এ ব্রিজগুলো ভেঙ্গে নতুন ব্রিজ নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন পরিবহন চালক সহ পথচারীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়েক বছরের চলাচলের জন্য তৈরি করা ৯০ দশকের ব্রীজগুলো আজ আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজগুলো চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। তাই মৃত্যুকে হাতে নিয়েই চলাচল করছে যাত্রীবাহি, মালবাহি যানগুলোর চালকসহ যাত্রীরা।
একটি বাস পার না হওয়া পর্যন্ত মানুষ, রিকশা ও সাইকেল চলতে পারছে না এ ব্রিজে। বর্ষার মৌসুমে বেশি আতঙ্কে থাকতে হয় মোটর সাইকেল আরোহিদের। সামান্য এদিক ওদিক হলেই পিছলে গিয়ে ভয়ংকর দূর্ঘটনার শিকার হয় মোটরসাইকেল। অনেকের জীবনহানীসহ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
এ বিষয়ে ভোলা সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম জানান, ভোলা এখন শিল্পনগরী হিসেবে রূপান্তর হওয়ার পথে। তাই প্রচুর ওভার লোডের ট্রাক, লরি চলাচল করে। বিশেষ করে ভোলায় অনেকগুলো পাওয়ার প্লান্ট তৈরি হচ্ছে। তাই বড় বড় যন্ত্রপাতিসহ প্রতিনিয়ত এরকম ১২-১৮ চাকার লরি আসা-যাওয়া করছে।
এছাড়াও এ অঞ্চল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তরমুজ, ধান ও সবজির গাড়ি সারা বছর চলাচল করে। এ পর্যন্ত প্রতি বছর কেবল মেরামতই করা হচ্ছে। ভোলা জেলা সড়ক বিভাগ এই ৫টি ব্রিজের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যার ডিজাইনের কাজ চলছে। আমরা আশা করছি এ বছরের মধ্যে এর টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারবো।
ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ৮০-৯০ জন যাত্রী নিয়ে দশ-বারো টনের ৬০টি বাস প্রতিদিন বিশ মিনিট পরপর ভোলা থেকে চরফ্যাশন চলাচল করে। দশ ফুটের চওড়া এই বেইলি ব্রিজে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটছে। ভোলা সড়ক বিভাগের সাথে বার আলোচনা করেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি। তাই এখন আল্লাহপাকের ওপর ভরসা করে চলছি। যাতে এই ব্রিজগুলো ভেঙে নতুন ভাবে ব্রিজ তৈরি করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সাধারণ যাত্রীরা বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত ভোলা টু চরফ্যাশন রুটে বাসে যাতায়াত করি। বাসের ভেতর থেকে বুঝতে পারি ব্রিজগুলো কতটা নড়বড়ে হয়ে আছে। এর ওপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। মনে হয়, যেন আশি সিটের বাসটা এখনই মানুষসহ ব্রিজ ভেঙে পড়ে যাবে।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ঝূঁকিপূর্ণ এই বেইলি ব্রিজগুলোকে গার্ডার ব্রিজে রুপান্তর করার জোর দাবি জানিয়েছেন ভোলার যান চালকসহ সাধারণ পথচারীরা।