বোরহানউদ্দিনে হুমকির মুখে মেঘনা রক্ষা বাঁধ, প্লাবিত হওয়ার শঙ্কায় ২লাখ মানুষ।। লালমোহন বিডিনিউজ

লালমোহন বিডিনিউজ, এইচ. এম এরশাদ : ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের বড় মানিকা ইউনিয়ন অংশের ১৫০মি: এখন পক্ষিয়া ইউনিয়নের ১০০মি:অংশ এলাকাসহ ২৫০মি: এলাকার বাঁধ চরম ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে।
অমাবশ্যা তিথি ও দক্ষিণ পূর্বদিকের প্রবল বাতাসের বেগ এর কারণে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে মেঘনার পানির স্তর অনেক উপরে। এসব কারণে সাগরের উদ্দেলিত ঢেউ আঁচড়ে পরে যে কোন সময় ছিড়ে যেতে পারে ওই অঞ্চলের বেড়ী বাঁধ। এমন আশংকা এলাকবাসির।
বেড়ী বাঁধ ছিড়ে গেলে উপজেলার সর্ব বৃহত্তর ইউনিয়ন বড়মানিকা,কুতুবা,পক্ষিয়া ও পৌরসভা এলাকার প্রায় ২লাখ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েবে।
অবশ্য পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে ভয়ের কিছু নেই।
বুধবার বিকালে সরেজমিন পরিদর্শন কালে দেখা যায় বড় মানিকা ইউনিয়নের ৮নং ওয়াডস্ত দক্ষিণ বাটামারার আলতাফ হাওলাদার বাড়ীর পেছনের ১৫০মিটার এবং পক্ষিয়া ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের ১০০ মি;অংশ চরম ঝুঁকিপূর্ণ । ঝুঁকিপূর্ন এলাকার সাফু (৫০),আব্দুল অহিদ(৩২) বিল্লাহ হোসেন (২০) আব্দুল অজুদ (৬০) জানায়, প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে মাটি ভবে বাধের ভাঙ্গণজনিত স্থানে দেওয়া হয়। কিছু অংশে জিও ব্যাগের চট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু অংশে ভাঙ্গনের ৩-৪ হাত সামনের মাটি ভেকু দিয়ে টেনে বাধে দেওয়া হচ্ছে। তারা বলেন, একে তো আমাবশ্যার জো তার ওপর ধমকা বাতাস। নদীতে জোয়ারের পানি অনেক বেশী। জোয়ারের কয়েকটা ঢেউ বারি দিলে সব বস্তার মাটি ধুয়ে যাবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না। তারা দাবী করেন বস্তার মধ্যে মাটির পরিবর্তে বালু দিলে কাজটি ভালো হতো ।
শ্রমিক ইব্রাহিম জানান, যে ভাবে কাজ চলতে জোয়ারের পানি এলে ৭০ ভাগ কাজ পানির সাথে চলে যাবে। পক্ষিয়া ইউনিয়নের ১,২,৩নং ওয়ার্ডস্থ মধ্যমধলী হয়ে বাটামারা পর্যন্ত ১০০মি বেড়ী বাঁধ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
ইউপি মেম্বার মহিউদ্দিন, স্থানীয় বাসিন্দা রবি আলম পন্ডিত, হুমায়ুন মাকসুদ জানান, এভাবে কাজ করলে যে কোন সময় জোয়ারের পানিতে বেড়ী বাঁধ ছিড়ে যেতে পারে। যদি বাঁধ ছিড়ে যায়, তাহলে বড় মানিকা, পক্ষিয়া, কুতুবা ও পৌরসভার অর্থাৎ উপজেলার একটা বড় অংশ পানিতে প্লাবিত হয়ে যাবে।
বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দার,পক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাগর হাওলাদার জানান, রাতে তারা ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেন। তারা বলেন বাঁধ ছুটে গেলে উপজেলার ২লাখ মানুষ পানি বন্ধি হযে যাবে । তাই ভালো মানের কাজ হওয়ার দাবি জানান।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ,অঞ্চল-১ এর উপসহকারী প্রকৌশলী মো:হুমায়ূন কবির জানান, পূর্ব দিকের বাতাস হলে একটু সমস্যা। তবে অভিজ্ঞতা থেকে বলছি সমস্যা হবে না।