
বুধবার, ৮ আগস্ট ২০১৮
প্রথম পাতা » জাতীয় | জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » সড়ক দুর্ঘটনারোধে লক্করঝক্কর গাড়ি বেপরোয়া চালক ও গতি ঠেকান।।লালমোহন বিডিনিউজ
সড়ক দুর্ঘটনারোধে লক্করঝক্কর গাড়ি বেপরোয়া চালক ও গতি ঠেকান।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ,নুরুল আমিন : সারা দেশজুড়ে চলছে ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি। এসব লক্করঝক্কর গাড়ির কারনে সড়কে বাড়ছে জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা। শুধু তাই নয়, যাত্রীরা হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ পেরিয়ে গেলেও ফিটনেসবিহীন গাড়ি বন্ধ করার জন্য কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। একেত মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেসবিহীন অপরদিকে কাগজপত্র ঠিক নেই এসব অধিকাংশ গাড়ির। ভুয়া ও নামমাত্র কাগজপত্র দিয়ে চলাচলের অযোগ্য অনুপযোগী এসব গাড়ি দিব্যি চলছে। কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে। আর এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ অবিবেচক চালকরা। শুধু রাজধানীতেই প্রায় চার থেকে পাঁচ লক্ষ মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেসবিহীন গাড়ি রয়েছে। আর গাড়ির অনেকেই হেল্পার থেকে চালক হয়েছে। এদের কোন প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেই। এরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভুয়া কাগজ বানিয়ে নেয়। তাছাড়া অধিকাংশ চালক লেখাপড়া জানেনা। অথচ অসৎপথে এদের হাতেও অরিজিনাল লাইসেন্স চলে আসে। অনেকেই আবার মাদকাসক্ত। গাড়ি চালানোর সময় এসব চালককে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। যার কারনে সড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এমনকি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। বিবেচনাহীন ড্রাইভার বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায় এবং ওভারটেক করে আগে যাওয়ার অসম প্রতিযোগিতা দেয়। যার কারনে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। সড়কের বেহাল দশা এবং গাড়িতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারনেও দুর্ঘটনা ঘটে। এতে যাত্রী, পথচারী ও সাধারণ মানুষের বিড়ম্বনা বাড়ে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ রাস্তায় চলে।
দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের প্রাণের দাবি নিরাপদ সড়ক চাই। কিন্তু সড়কে কাগজপত্রহীন বা ভুয়া কাগজপত্রধারী প্রশিক্ষণবিহীন চালক, মেয়াদোত্তীর্ণ ফিটনেসবিহীন যান্ত্রিক ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি ও গাড়ির বেপরোয়া গতি ঠেকাতে না পারলে কোনদিন কোনভাবেই নিরাপদ সড়ক আশা করা যায় না। আশার কলি ফুটাতে হলে নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং শতভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে। নামমাত্র চেকিং পরিহার করতে হবে। অসৎ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু কাগজপত্র ঠিক করলেই ফিটনেসবিহীন গাড়ি ফিট হয়ে যায়না। গাড়ির ইঞ্জিন, বডি, বাম্পার, সিট, লাইট, ব্রেক, চেসিস ইত্যাদি সবকিছুই পরিক্ষা নিরিক্ষা করে দেখতে হবে। গাড়ি এবং চালকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আসল কিবা নকল সঠিকভাবে নির্নয় করতে হবে এবং নকল ধরা পড়লেই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের দেশে বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনা গাড়ির বেপরোয়া গতির কারনেই হয়ে থাকে। তাই গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য জরুরিভিত্তিতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। অপরাধীদের দীর্ঘদিনের লালিত বেআইনি অপসংস্কৃতিকে ঠেকিয়ে আইন মানার প্রবনতা ও সচেতনতা বাড়াতে হবে। এতে সড়কে ভোগান্তি, হয়রানি ও দুর্ঘটনা কমবে।