শুক্রবার, ২০ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পরিদর্শন করেন ইউএনও।।লালমোহন বিডিনিউজ
গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পরিদর্শন করেন ইউএনও।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ :লালমোহনে বেতুয়া নদীর উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পরিদর্শন করেন ইউএনও মোঃ হাবিবুল হাসান রুমি। মাকসুদুর রহমান (পারভেজ): ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ও ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা একটি ঝুকিপূর্ণ সাঁকো।
রমাগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব চরউমেদ ও ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের চর মোল্লাজী (৬ নং ওয়ার্ড) এলাকার মধ্যবর্তী বেঁতুয়া নদীর উপরে দীর্ঘ কয়েক যুগ আগে এলাকাবাসী কর্তৃক সেচ্ছায় নির্মাণ করা হয় একটি সাঁকো।
যা বর্তমানে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। আর এই মরণ ফাঁদে জীবনের তাগিদে প্রতিনিয়িত প্রাণ হাতে নিয়ে যাতায়াত করছে শত শত মানুষ ও স্কুলগামী কোমলমতী শিক্ষার্থীরা। আর এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট গত কয়েকদিন যাবৎ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক,আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর নজরে আশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল হাসান রুমির,তিনি গত বৃহস্পতিবার ১৯ জুলাই বিকালে উক্ত সাঁকোটি পরিদর্শন করেন। এবং তিনি সরোজমিনে পরিদর্শন করায় ওই এলাকার জনসাধারন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দ উল্লাস করতে দেখা যায়। এলাকাবাসী আশা করেন নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের মাধ্যমে আমরা এখানে একটি ব্রীজ দেখতে পাব। উল্লেখ্য,
ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের চর মোল্লাজী এলাকা থেকে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ শত শত জনসাধারন রমাগঞ্জ ইউনিয়নে আসা যাওয়া করছে। চর মোল্লাজী থেকে প্রতিদিন যাতায়াত করছে পূর্ব চর উমেদ ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চর উমেদ নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চর উমেদ হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা, পূর্ব চর উমেদ কেরাতুল কোরআন মাদ্রাসা, পূর্ব চর উমেদ মাদ্রাসাতুল আবরারের শত শত শিক্ষার্থী ও এলাকার জনসাধারণ। এমনকি ওই এলাকার জনগণের উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই সাঁকোটি।
শিক্ষার্থী আছমা, ফাহিমা ও জান্নাত জানায়, আমাদের স্কুলে যেতে হয় এই সাঁকোটি দিয়ে। সাঁকোর অবস্থা অনেক খারাপ, তাই এখন আমাদের এখান দিয়ে যেতে অনেক ভয় হচ্ছে, বর্ষার মৌসুমে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বৃদ্ধ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
চর মোল্লাজী এলাকার শামিম মাষ্টার, মহাসিন মাষ্টার, ফারুক মিয়া, মোজাহার,আতিকউল্লা, জাফর মিয়া,মোর্শেদ, মোস্তফা মিয়া ও ইকবাল জানান, আমরা এই সাঁকোটি নিয়ে বিপদে রয়েছি। বর্তমানে সাঁকোটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। তবু ও আমাদের নিত্যদিনের প্রয়োজনে ওপারে রমাগঞ্জ ইউনিয়নের রায়চাঁদ, হাফিজ উদ্দিন বাজারসহ লালমোহনের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় এখান দিয়ে। অনেকে যাতায়াত করতে গিয়ে সাঁকো ভেঙ্গে পানিতে পড়ে যায়। আবার বেশি জোয়ার হলে পানিতে ডুবে যায় সাঁকোটি। তাই আমাদের দাবী অতি শিঘ্রই যেনো এখান দিয়ে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়।
পূর্ব চর উমেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তরিকুল ইসলাম,ও নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতার হোসেন নান্নু বলেন, সাঁকোটি দিয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে আসতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। এই সাঁকোর কারণে আবার অনেকে বিদ্যালয়ে আসছে না। তাই সাঁকোর স্থানে ব্রীজ নির্মাণ খুবই জরুরী।এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল হাসান রুমি বলেন আমি সেখানে
গিয়েছি এবং সাঁকোটির ব্যাপারে জেলাপ্রশাসক স্যারকে অবগত করেছি আশাকরি একটা কিছু হবে।