রবিবার, ১ জুলাই ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | দৌলতখান | ভোলা | মুক্তমত | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় বিদ্যুৎ শ্রমিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।। লালমোহন বিডিনিউজ
ভোলায় বিদ্যুৎ শ্রমিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার দৌলতখান উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগ স্থাপনকালে ঠিকাদারের শ্রমিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় অন্তত ১২জন শ্রমিক আহত হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে ঠিকাদার মো. সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন।
রোববার দুপুরে ২টায় ভোলা শহরের একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলনে করে এ অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে আরও জানান, গত ২৮ জুন বৃহষ্পতিবার সকাল থেকে দিনব্যাপী দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের পশ্চিম জয়নগর গ্রামের গফুর সিকদার জামে মসজিদ এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগ স্থাপনের কাজ করেন। এ সময় সন্ধ্যার দিকে লাইনে কর্মরত শ্রমিকদের উপর বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার অজুহাত দেখিয়ে গ্রাহক নামধারী মো. রবিউল ইসলাম, মো. জয়নাল আবেদীন, মো. হেমায়েত, মো. হানিফের নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসীরা উদ্দেশ্যমূলক হামলা চালায়।
এতে মো. গিয়াস উদ্দিন, মো. রেজাউল, মো. আমিরুল, মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. গোলাম মাওলা, মো. বকুলসহ ১২জন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। আহতরা ভোলা সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় ২৯ জুন ঠিকাদার মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দৌলতখান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৮।
এদিকে মামলার দুই দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোনো আসামীকে গ্রেফতার করেনি। উল্টো মামলা করার কারণে বাদি পক্ষকে হুমকী ধমকী দিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী পল্লী বিদ্যুত সমিতির নতুন লাইন স্থাপন করার সময় পাশের চালু লাইনে হাই-ভোল্টেজ থাকার কারণে বিদ্যুত বিতরণ বন্ধ রাখে। এখানে ঠিকাদার বা শ্রমিকের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই। এটি সম্পূর্ণই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের অধীনে। শুধুমাত্র ঠিকাদারি শত্রুতার কারণে ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হানিফ ও মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে কর্মরত নিরপরাধ শ্রমিকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীরা মাদক ব্যবসায়ী- জুয়ারী ও প্রভাবশালী।
বর্তমানে আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেরাচ্ছে এবং বাদি পক্ষকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, আসামীদের সঙ্গে বাদি পক্ষের বিরোধ অনেক আগের। বাদি পক্ষ আসামীদের ওপর এর আগে হামলা করেছিল। দুই পক্ষের সংঘাতে সাধারণ গ্রাহক কষ্ট পাচ্ছে। তবে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। কিন্তু আসামীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।