মঙ্গলবার, ১৯ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনের ভূমিদস্যু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামী সফিকে খুজছে পুলিশ॥লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনের ভূমিদস্যু ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামী সফিকে খুজছে পুলিশ॥লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ ,লালমোহন প্রতিনিধি: লালমোহনের চরভুতা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে( প্রস্তাবিত লালমোহন পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড) ঘরে প্রবেশ করে গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামী ভূমিদস্যু শফিকুল ইসলাম ওরফে চোরা শফিয়াকে খুজছে পুলিশ। লালমোহনের আলোচিত এ ভূমিদস্যুকে গ্রেফতার করতে ইতোমধ্যে পুলিশ একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু আত্মগোপনে থাকায় পুলিশ তাকে খুজে পাচ্ছে না। এদিকে বিশ^স্ব সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধুকে ধর্ষন করতে গিয়ে গণধোলাই খেয়ে পালিয়ে যাওয়া শফিকুল ইসলাম ওরফে প্রতারক শফিয়া আত্মগোপনে চর কচুয়াখালীতে অবস্থান করছে। কচুয়াখালী চরের আব্দুল আলি নামে এক কৃষকের বাড়িসহ বিভিন্ন বাড়িতে থাকছে প্রতারক শফিয়া।
সম্প্রতি লালমোহনের চরভূতা ইউয়িনের ২ নম্বর ওয়ার্ড( প্রস্তাবিত লালমোহন পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড)এক গৃহবধুকের ঘরে প্রবেশ করে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে ধর্ষনের চেষ্টা করে ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত লম্পট ও প্রতারক শফিকুল ইসলাম শফি। ঘটনার সময় গৃহবধুর স্বজনরা গৃহবধুর চিৎকারে ছুটে এসে শফিকুল ইসলাম শফিকে আটক করে গণধোলাই দেয়। সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যায় শফি। পরে এ ঘটনায় গৃহবধু বাদী হয়ে শফিকে আসামী করে লালমোহন থানায় একটি মামলা করে। ঘটনার পর আত্মগোপনে চলে যায় শফি।
লালমোহন থানার ওসি মীর খায়রুল আলম জানান, গৃহবধুকে ধর্ষন চেষ্টার ঘটনা তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে তারা সত্যতা পেয়েছে। শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। ওসি জানান, শফিক লম্পট চরিত্রের লোক। তার অতীত রেকর্ড খুব খারাপ। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে লালমোহনের হেলিপেড এলাকার শফিকুল ইসলাম শফি দীর্ঘদিন ধরে প্রতারনা, জাল দলিল করে জমি দখল, চর এলাকায় জমি দখলসহ নানা অপকর্ম করে আসছে। কচুয়ার চরে সে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে বহু জমি অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছিলো। চর এলাকায় লাঠিয়াল ও সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে সম্পর্ক করে শফি চর এলাকায় সাধারণ মানুষকে জিম্মী করে রাখতো। এক পর্যায়ে কচুয়ার চর থেকে তাকে কয়েকবার বিতারিত করে চরের লোকজন। কিন্তু ভূমি দস্যু শফিক কৌশলে চরে গিয়ে নিজেকে ক্ষমতাসীন দলের লোক পরিচয় দিয়ে আবার চরে আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা শুরু করে। সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হাওলাদারের মৃত্রুর পর তার কিছু জমিও অবৈধভাবে আব্দুল আলিম নামে এক সহযোগীকে দিয়ে চাষ দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হাওলাদারের ওয়ারিশরা বিষয়টি টের পেয়ে চরে গিয়ে বাধা দেয়। এরপর ভূমিদস্য শফিকের বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় অভিযোগ দেয়া হয়। বিষয়টি লালমোহন পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামলীগের জেষ্ঠ নেতা এমদাদুল ইসলাম তুহিনের কাছেও অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগের ভিত্তিত্বে শফিকে ডাকা হলে সে প্রথমে হাজির হলেও পরে ভয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। এর মধ্যে সে তার এলাকার এক ব্যক্তির ঘরে প্রবেশ করে গৃহবধুকে ধর্ষনের চেষ্টা করে গণধোলাই খায়।
অভিযোগ রয়েছে শফিকুল ইসলাম লালমোহন চরভূতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর মিয়ার নামে মিথ্যে মামলা করেছে। এছাড়া একাধিক ব্যক্তির নামেও একাধিক মিথ্যে মামলা দিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। চরের এলাকার মানুষের বিরুদ্ধে মামলার ভয় দেখিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তির বন্দোবস্তো নেয়া জমিও ভূয়া এভং জাল কাগজপত্র তৈরি করে দখলের চেষ্টা করছে। ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে শফির বিরুদ্ধে প্রতারনার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কচুয়াখালী চরের একাধিক সূত্র জানায়, শফিকুর ইসলাম শফি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে চরফ্যাশনের ঘোষের হাট এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে সে কচুয়ার চরে তার প্রধান সহযোগী আব্দুল আলিমের ঘরে আ¤্রয় নেয়। বর্তমানে সে চর কুয়াখালীতে সহযোগী আব্দল আলিমের বাড়িতে আত্মগোপনে রয়েছে।