মেঘনার অব্যাহত ভাঙন, সড়ক বিচ্ছিন্ন, জন দূর্ভোগ চরমে।। লালমোহন বিডিনিউজ

লালমোহন বিডিনিউজ, মনপুরা প্রতিনিধি : ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা উপজেলার সদর থেকে সাকুচিয়া ২টি ইউনিয়নে যাওয়ার জন্য নির্মিত পাকা সংযোগ সড়কটি মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে সম্পুর্ন ভেঙে যাচ্ছে।
সংযোগ সড়কটি বিচ্ছিন্ন হলে উপজেলা সদর থেকে ২টি ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যাবস্থা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়বে স্থানীয়রা। তাই দ্রুত বিকল্প সড়ক বা বেঁড়ীবাধ নির্মাণের দাবী করছেন এলাকাবাসী। দ্রুত বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করা হলে বর্তমান সরকারের সকল উন্নয়ন ভেস্তে যাবে। পানিবন্ধী হয়ে পড়বে ২টি ইউনিয়নের ৬০ হাজার মানুষ।

জানা গেছে, ৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মনপুরা উপজেলা। সর্ব উত্তরের ইউনিয়নের নাম মনপুরা। হাজীর হাট ইউনিয়নটি মাঝখানে অবস্থিত বিধায় এখানেই গড়ে উঠেছে উপজেলার প্রধান শহর। বাকি ২টি ইউনিয়ন হলো উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া। উপজেলা সদর থেকে সাকুচিয়া দুই ইউনিয়নে যাওয়ার জন্য একটি পাকা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু রাক্ষুসী মেঘনার অব্যাহত ভাঙনের ফলে সংযোগ সড়টি প্রায় সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে। তীব্র বাতাস ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢেউয়ের আঘাতে পাকা সংযোগ সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে। পাকা সংযোগ সড়কটির নীচ থেকে মাটি সড়ে গিয়েছে। যোগাযোগ ব্যাবস্থা সম্পুর্ন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সংযোগ সড়কটি সম্পুর্ন ভেঙে গেলে ৪টি ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ সম্পুর্ন বন্ধ হয়ে যাবে। চরম ভোগান্তিতে পড়বে উপজেলার মানুষ।

পাকা সংযোগ সড়কটি ভেঙে নদীতে পড়ে যাচ্ছে। একপাশে রাস্তার কিছু মাটি দাঁড়িয়ে আছে। জোয়ারের পানির স্রোতে সে কাঁচা মাটি যেকোন মূহুর্তে ভেঙে ভিতরে জোয়ার ঢুকে ২টি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্ধী হয়ে পড়বে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে উপজেলা সদর থেকে।

এছাড়াও হাজির হাট ইউনিয়নের পুরান থানা সংলগ্ন মন্নান মাস্টার বাড়ী পাশের পাকা সড়টিও যে কোন মুহুর্তে ভেঙে যাবে। ফলে পানিবন্ধী হয়ে পড়বে চরযতিন ও সোনার চর গ্রামের ২০ হাজার মানুষ।

সংযোগ সড়কটি ভেঙে গেলে উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের সাধারন মানুষগুলো সহজে উপজেলা সদরে এসে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারবেনা।

শহরে আসতে হলে তারা বাধ্য হয়ে নৌকা কিংবা অন্যকোন বিকল্প বাহনের সহযোগীতা নিতে হবে। মানুষ কোন ভাবে এপার ওপার পাড়ি দিলেও যানবাহন আনা নেওয়ার সমস্যায় প্রতিদিন শতশত মানুষকে ভোগান্তিতে পড়বে।

উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বলেন, সাকুচিয়া সংযোগ সড়কটি ভেঙে গেলে আমার ইউনিয়নের জনগনের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হবে। দ্রুত সংযোগ সড়কটি নির্মাণের দাবী করেন তিনি।

এব্যাপারে দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অলিউল্যাহ কাজল বলেন, সংযোগ সড়টি নির্মাণের জন্য বার বার বলা হলেও এখনও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, বিকল্প সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এখনও কোন প্রস্তাব পাওয়া যায়নি।

মনপুরা উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সভাপতি মিসেস সেলিনা আকতার চৌধুরী বলেন, বিকল্প সড়ক নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি দ্রুত বিকল্প সড়ক নির্মাণের জন্য।