সোমবার, ২১ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » তজুমদ্দিন | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » রমজানে তাসরিফ লঞ্চের খাবারের বেহাল দশা ভোগান্তিতে যাত্রীরা-ফেসবুকে ক্ষোভ।।লালমোহন বিডিনিউজ
রমজানে তাসরিফ লঞ্চের খাবারের বেহাল দশা ভোগান্তিতে যাত্রীরা-ফেসবুকে ক্ষোভ।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ,তজুমদ্দিন প্রতিনিধি: তাসরিফ-৩ লঞ্চের ক্যান্টিনে খাবারের বেহাল অবস্থা। যাত্রীদের রান্না করে খাওয়ানো হচ্ছে দীর্ঘদিনের ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংস। তাসরিফ লঞ্চের নিম্ম মানের খাবার নিয়ে এমনই অভিজ্ঞতার কথা লিখে ফেসবুকের মাধ্যমে নিন্দা জানান এক সাংবাদিক। এ সময় ঐ সাংবাদিকের পোষ্টে কমেন্টের মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী লঞ্চে যাতায়াতকারী অন্যান্য যাত্রীরা।
রবিবার রাত ৯টা ৩৯ মিনিটে জাতীয় দৈনিক আমাদের অর্থনীতির তজুমদ্দিন উপজেলা প্রতিনিধি সাদির হোসেন রাহিম ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, তাসরিফ-৩ লঞ্চের ক্যান্টিনে খাবারের বেহাল অবস্থা। আজকে তজুমদ্দিন থেকে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে যাওয়ার জন্য তাসরিফ-৩ লঞ্চে উঠলাম। সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় ইফতারের পর লঞ্চের ক্যান্টিনে খাবার খাওয়ার জন্য বসলাম। বোয়াল মাছের অর্ডার করলাম। সুন্দর ভাবে সুসজ্জিত মাছ খানা যখন সামনে আনা হলো দেখে খুবই ভালো লাগছিলো। মনে হচ্ছিলো অনেক মজাদার হবে। মুখে দিতেই ব্যাধি ব্যাতিক্রম। মুখে দেওয়ার পর বুঝতে পারলাম মাছগুলো দীর্ঘদিনের ফ্রিজে রাখা ছিলো। যার কারনে সম্পূর্ণ স্বাদবিহীন লাগলো। কিছুটা অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে পরলাম। ক্ষুদা নিবারনের জন্য ডাল দিয়ে অল্প কয়টা ভাত খেয়ে নিলাম। তবুও যেনো ভাত গুলো পেটের মধ্যে ডুকছিলো না। যাই হোক অবশেষে হাত ধুয়ে খাবারের ছবি তুলে বিল পরিশোধ করে চলে আসলাম। এবং ক্যান্টিন পরিচালনাকারির কাছে উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন মাছ গুলো নাকি কালকে কিনেছেন। তবে ক্যান্টিনের কর্মচারী জানালো মাছ গুলো তিন দিন আগে কেনা হয়েছে। যদিও মাছগুলো হয়তো তিন দিনেরও বেশি সময় ধরে কেনা হয়েছে… যাই হোক- মূল কথায় আসি এমনিতে তাসরিফ লঞ্চ গ্রুপের জনগণের কাছে বদনামের অভাব নেই, এর মধ্যে যদি রমজান মাসে তারা এ রকম নিম্মমানের খাবার ক্যান্টিনে পরিবেশন করে তাহলে বদনামের মাত্রাটা কতটুকু বৃদ্ধি পেতে পারে…
উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে, তাসরিফ লঞ্চের ম্যানেজার মোঃ আলমগীর কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।