শনিবার, ১৯ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে কালের আবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি!।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে কালের আবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি!।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ , এম,আর পারভেজ : দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহনে কালের আবর্তনে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকিশিল্প। লালমোহনের প্রত্যান্ত অঞ্চলের গ্রামের ঘরে ঘরে এখন আর ঢেঁকি আগের মত চোখে পড়ছেনা। অথচ এক সময় ঢেঁকি ছাড়া গ্রাম কিংবা গ্রাম ছাড়া ঢেঁকি কল্পনা করা ও কঠিন ছিল। লালমোহনে গ্রামের প্রায় বাড়িতেই ধান ভানা
হতো ঢেঁকিতে। অনেকেই এ পেশায় জড়িত ছিল, বর্তমানে তারা পেশাচ্যুত। গ্রামের কৃষক, ব্যাবসায়ী,চাষী ও লোকেরা এখন ঢেঁকিতে ধান ছাঁটাই করেনা। লালমোহনে প্রায় গ্রামেই
মিনি রাইস মিল গড়ে উঠেছে। হাজার হাজার বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা,ও গরীব মহিলারা জীবিকা অর্জনের একমাত্র সম্বল ছিল এ ঢেঁকি। এমন একদিন আসবে হয়তো ঢেঁকি দেখার জন্য জাদুঘরে যেতে হবে। জেনারেশনকে বুঝাতে হবে কিভাবে ঢেঁকিতে ধান ছাঁটাই করা হতো। সভ্যতার প্রয়োজনে ঢেঁকির আবির্ভাব ঘটেছিল। আবার প্রযুক্তিগত ও ডিজিটালের উৎকর্ষেই ঢেঁকি এখন বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে।গ্রাম বাংলার মহিলারা সংসারে শত অভাব অনটনের ভেতরে ও নিজিদের ক্লান্তি অবসাধের জন্য ঢেঁকির তালে তালে গান গেয় ধান ছাঁটাইয়ের কাজ করত। গত এক দশক আগে ও গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ঢেঁকি চোখে পড়ত। গ্রামের মহিলাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলতো কে কত ভোরে উঠে ঢেঁকিতে পা দিতে পারবে। ঢেঁকি কাঠের তৈরি, সাড়ে তিন থেকে চার হাত দৈঘ্য এবং পৌনে এক হাত চওড়া হলো ঢেঁকির আকৃতি। ঢেকির নাম শুনেছেন অনেকেই কিন্তু চোখে দেখেননি এমন লোক ও আছে। আমাদের গান ও প্রবাদঅনেকবার ঢেঁকির কথা এসেছে।বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম পর্যন্ত গান রচনা করেছেন। পায়ের পরশে পেয়েছ কাঠের ঢেঁকির প্রান। তাছাড়া ঢেঁকি নিয়ে বই পুস্তুকে অনেক প্রবাদ আছে তা আমরা অহরহ ব্যাবহার করি। যেমন,অনুরোধে ঢেঁকি গেলা, ঢেঁকির চাল ছাঁটাই না হলে ও ভালো।অসম্ভব কোন কাজ সম্পাদন করার ক্ষেত্রে এটা ব্যাবহার হয়। ঢেঁকি শিল্পের শব্দের প্রতিধ্বনি গ্রামবাংলার চিহ্নিত হয়ে ওঠে ঐতিহ্যবাহী শিল্প হিসাবে।