সোমবার, ১৪ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ভোলা | শিরোনাম | সর্বশেষ » ভোলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে নিহত-২।।লালমোহন বিডিনিউজ
ভোলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে নিহত-২।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ,ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বড় ভাইর হাতে ছোট ভাই সহ ২জন নিহত হয়েছে। রবিবার (১৩ মে) রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি পরিষদ সংলগ্ন মোস্তফা মাস্টারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ রাতেই এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। ঘটনার মূল হোতা মামুন ও ফিরোজ পলাতক রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সদরের বাপ্তা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি পরিষদ সংলগ্ন এলাকার মোঃ মোস্তফা মাস্টারের ছেলে মোঃ মামুন (৪৫) এর সাথে ছোট ছেলে মাসুম (৩৫) এর দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে পুলিশের দোকান সংলগ্ন মোঃ মামুনের বন্ধু, কাশেম মাস্টারের ছেলে মোঃ ফিরোজের সাথে মাসুমের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার রাত ১১টার দিকে মোঃ মামুন, তার বন্ধু মোঃ ফিরোজ, ছেলে মোঃ শরীফ হোসেন ধারালো অস্ত্র নিয়ে মাসুমের ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা মাসুমকে কুপিয়ে জখম করে। হামলাকারীদের হাত থেকে মাসুমকে উদ্ধার করতে তার শ্যালক, কৃষি অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মোঃ জাহিদ এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। মাসুম ও জাহিদের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা এসে ঝড়ো হলে মামুন, ফিরোজ, শরীফ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে মাসুম ও জাহিদকে মুমুর্ষ অবস্থা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ রাতেই মামুনের বড় ছেলে মোঃ শরীফ ও ছোট ছেলে আরিফকে আটক করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদের ধরার জন্য পুলিশের অভিযান চলছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ সোহেল জানান, আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। এলাকাবাসীর ডাকচিৎকার শুনে এগিয়ে দেখি মাসুম ও জাহিদ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এবং মামুন, ফিরোজ ও শরীফ ঘটনাস্থল থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
মামুন ও মাসুমের ছোট ভগ্নিপতি মোঃ বাবু বলেন, রাতে আমি মোঃ মাসুমকে মোটরসাইকেল দিয়ে বাসায় এগিয়ে দিয়ে আমার বাসায় চলে যায়। আমি রাতে খাবার খেতে বসি এমন সময় মাসুম আমাকে ফোন দিয়ে বলে মামুন, ফিরোজ, শরীফ তাকে মারার চেষ্টা করছে। আমাকে বাঁচাও বলে চিৎকার করছে। এ কথা শুনে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে দেখি মাসুম ও জাহিদ রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পড়ে আছে। তাদেরকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাবু আরও বলেন, আমার বড় শ্যালক মামুন ও মাসুমের সাথে চরের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিলো। জমিজমা নিয়ে তাদের সাথে একাধিকবার ঝড়গড়া হয়। আমি এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার ফয়সালা করে দিয়েছি।
ভোলা মডেল সদর থানার ভাপপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছগির মিয়া বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছেন। তদন্ত চলছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মামুনের দুই ছেলে শরীফ ও আরিফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।