শনিবার, ১২ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » রাজধানী | রাজনীতি | শিরোনাম | সর্বশেষ » সোমবার সারাদেশে বিএনপি’র বিক্ষোভ কর্মসূচি।। লালমোহন বিডিনিউজ
সোমবার সারাদেশে বিএনপি’র বিক্ষোভ কর্মসূচি।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে সোমবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আজ শনিবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, দেশব্যাপী থানা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা তাদের সুবিধা মতো সময়ে এ কর্মসূচি পালন করবে। এসময় রিজভী আরো বলেছেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের আর মাত্র দু’দিন বাকী। নির্বাচনকে ঘিরে ভোটার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা থাকলেও সরকারের অনাচারে এক ভয়ানক পরিস্থিতি বিরাজ করছে কেসিসি নির্বাচনী এলাকায়।
তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তার, বাড়িতে সাঁড়াশী অভিযান সবমিলিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তান্ডবের পাশাপাশি এখন আরও একটি মাত্রা যোগ হয়েছে, সেটি হলো সাদা পোশাকধারী পুলিশ প্রিজাইডিং অফিসারদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা তাদের বাসভবনে গিয়েও খোঁজ খবর নিচ্ছে। এ নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারদের মনে এক ধরণের সংশয় ও ভীতি বিরাজ করছে। শুধু তাই নয় প্রধানমন্ত্রীর একজন আত্মীয় ও সরকার দলীয় এমপি দলবলসহ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে খুলনায় অবস্থান নিয়ে বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদেরও হুমকি ধামকি দিচ্ছে। প্রতিদিনই নাকি তিনি প্রশাসন, পুলিশসহ নানা শ্রেণির মানুষদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করছেন। এদিকে কেসিসি নির্বাচনী এলকায় সাদা পোশাকধারীরা বিএনপি নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তারের পাশাপাশি দলীয় কর্মকান্ডে যারা বেশী সক্রিয়, যাদেরকে সম্ভাব্য নির্বাচনী এজেন্ট করা হতে পারে তাদেরকেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে ও গ্রেপ্তার করছে, যা সাদা পোশাকে গ্রেপ্তার না করা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া পনেরটি নির্দেশনার সুষ্পষ্ট লংঘন। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে-খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পুলিশ, আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডার ও নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে একই টিমে খেলছে। খুলনার ৩১টি ওয়ার্ডের প্রায় সব কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আমরা বারবার কেএমপি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি জানালেও নির্বাচন কমিশন উদেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে প্রত্যাহার করেনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই-আপনার জুলুম করার দিন ফুরিয়ে এসেছে। আপনাকে মানুষ মিথ্যুক ও ধমকবাজ মনে করে। আপনার কারণে দেশের মানুষ এখন সজ্ঞাহীন ও মৃত্যুর দোলাচলে। এখনও সময় আছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তি দিন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের পথ সুগম করুন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ছাড়া ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া আগামীতে কোন জাতীয় নির্বাচন হবে না।