বুধবার, ৯ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | তজুমদ্দিন | শিরোনাম | সর্বশেষ » তজুমদ্দিনে এসএসসিতে পাশ করেও সবাই দুই বিষয়ে ফেল: শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ।।লালমোহন বিডিনিউজ
তজুমদ্দিনে এসএসসিতে পাশ করেও সবাই দুই বিষয়ে ফেল: শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ,সাদির হোসেন রাহিম : ভোলার তজুমদ্দিনে ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল পরীক্ষার্থীর মার্কসিটে দুই বিষয়ে ফেল পাওয়া গেছে। কেন্দ্র সচিবের গাফিলতির কারণে এধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে উপজেলার অন্যান্য স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন। যে কারণে গ্রেডিংয়ে প্রভাব পরে পুরো উপজেলায় একটিও এ+ না আসায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে।
সুত্রে জানা গেছে, এ বছর তজুমদ্দিন উপজেলায় স্কুল কেন্দ্রে ২টি ভ্যানুতে ১০টি স্কুল থেকে মোট ৪৯০ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। এরমধ্যে ৩৯৪ জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। ফলাফলে তজুমদ্দিনে কোন এ+ না থাকায় হতাশ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল। মার্কশীট সংগ্রহ করে দেখা যায় ৩৯৪ জন পরীক্ষার্থীর শারীরিক শিক্ষা ও ক্যারিয়ার শিক্ষা এ দুই বিষয়ে ফেল রয়েছে। এ নিয়ে পুরো উপজেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
প্রধান শিক্ষকরা জানান, তারা এই দুই বিষয়ের নম্বর ফর্দ কেন্দ্র সচিবের কাছে জমা দিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্র সচিব তা শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করেনি। যার ফলে গ্রেডিংয়ে প্রভাব পড়ে এ+ থেকে বঞ্চিত হয় তজুমদ্দিন উপজেলার কোমলমতি মেধাবি শিক্ষার্থীরা।
তারা আরো জানান, পাশ করা এসব শিক্ষার্থীদের মূল মার্কশীটেও দুই বিষয়ে ফেল লেখা থাকবে। ফলে উপজেলার এসব শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, এ দুই বিষয়ের সফর্ট কপি অর্থাৎ ই-মেইল কপি প্রেরণ করা হয়নি। তবে হাত কপি বোর্ডে জমা দেয়া হয়েছিল। শিক্ষাবোর্ডে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করবেন বলে জানান।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এসব নম্বর মূল বিষয়ের নম্বরে কোন প্রভাব ফেলবেনা। কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে কপি নিয়ে আসার জন্য বলা হবে। কিন্তু পার্শবর্তী উপজেলার পরীক্ষার্থীদের মার্কশীট যাচাই করে দেখা যায়, ওই সব বিষয়ের বোনাস নম্বর ফলাফলের গ্রেডিংয়ে প্রভাব ফেলেছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে এক অভিভাবক জানায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে যারা দ্বায়িত্বে ছিলেন তাদের গাফলতির কারনে দুটি বিষয়ে ‘এফ’ গ্রেড আসায় আমাদের ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। রেজাল্ট দেখে ছেলে-মেয়েরা শারীরিক ভাবে অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। যাদের গাফলতির কারনে এ সমস্যা হয়েছে আমরা তাদের সঠিক বিচার চাই। এবং আমাদের ছেলে-মেয়েদের মূল মার্কসিটে যাতে সঠিক রেজাল্ট যোগ করা হয় সেই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।