শনিবার, ৫ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | মুক্তমত | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ | স্বাস্থ্য » বিভিন্ন সংকটে জর্জড়িত লালমোহন হাসপাতাল, রোগীদের চরম ভোগান্তি।। লালমোহন বিডিনিউজ
বিভিন্ন সংকটে জর্জড়িত লালমোহন হাসপাতাল, রোগীদের চরম ভোগান্তি।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, নুরুল আমিন : লালমোহন হাসপাতালে স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ সংকটের কারনে ডায়রিয়া ও অন্যান্য রোগীদের চরম ভোগান্তির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ডাক্তার ও সেবিকাসহ স্টাফ সংকটের কারনে সেবা প্রত্যাশী রোগীদের ভোগান্তি ক্রমান্বয়ে প্রকট হচ্ছে বলে জানা যায়। প্রতিদিন গড়ে ৫০/৬০ জন রোগি ভর্তি থাকে। চলতি মৌসুমে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যাই বেশি। কিন্তু রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত সেলাইন সরবরাহ নেই। হাসপাতালে ভর্তি থেকে ডায়রিয়া রোগী সেলাইন পাচ্ছেনা। অন্যান্য ঔষুধেরও সংকট রয়েছে। এখন ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ বেশি। হাসপাতালে এসে সেলাইনসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ না পাওয়ায় সেবা প্রত্যাশীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়। প্রায় প্রতিদিনই কর্তব্যরত নার্স ও স্টাফদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। হাসপাতালে সাপ্লাই নেই কিংবা স্টোরে নেই বলে কর্তব্যরত নার্স স্টাফরা রোগীদেরকে সাফ জানিয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে তারা বাহির থেকে কিনে আনেন।
৪ মে ২০১৮ ইং শুক্রবার ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয় ১৯জন। এর আগেরও রোগি ছিল। পরের দিন শনিবারেও ডায়রিয়া রোগী আসে। কোন রোগীকেই হাসপাতাল থেকে স্যালাইন দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নার্সসহ স্টাফরা জানান, প্রতি সপ্তাহে মাত্র ১০টি করে স্যালাইন স্টোর থেকে দেওয়া হয়। অথচ এক একজন ডায়রিয়া রোগীর ৫/৭ ক্ষেত্র বিশেষে ১০/১২টি স্যালাইনও লাগে। সাপ্লাইয়ের পরিমান প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব বয়সের রোগীই আসে। এদিকে হাসপতালে প্রয়োজনীয় জনবলের প্রচন্ড অভাব। ডাক্তার নার্সসহ অন্যান্য স্টাফ সংকটের কারনে রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে। জনবল সংকটের কারনে একই ডাক্তার নার্স কিংবা স্টাফ একটানা ডিউটি করতে হয়। এতে জরুরি বিভাগে এবং ভর্তি রোগিদের চিকিৎসা সেবা অনেকাংশেই ব্যাহত হয়। রেডিও গ্রাফার, কার্ডিও গ্রাফার তথা টেকনেশিয়ানের অভাবে অনেক মুল্যবান ও প্রয়োজনীয় এক্সরে মেশিন, ইসিজি মেশিন অব্যবহৃত পরে আছে। রোগীদের প্রয়োজনে পর্যাপ্ত স্যালাইন ঔষধ সরবরাহ করণের পাশাপাশি লালমোহন হাসপাতালে ডাক্তার নার্সসহ স্টাফ বৃদ্ধির করার জন্য প্রাণের দাবি জানান এলাকাবাসি।
লালমোহন হাসপাতালের টিএস ডাঃ আঃ রশিদ জানান, হঠাৎ করে ডায়রিয়া রোগী বেড়ে যাওয়ায় একটু সংকট হলেও আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাছাড়া রেডিও গ্রাফার, কার্ডিও গ্রাফার, টেকনিশিয়ান, ডাক্তার, নার্সসহ সকল পদে জনবল বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে।
হাসপাতালে এক্সরে, ইসিজিসহ রোগীদের রক্ত তথা মল মুত্র পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা যাতে হয় সেজন্য চেষ্টা করছি। আশা করি শীঘ্রই হয়ে যাবে।