সোমবার, ৩০ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন | জেলার খবর | শশীভূষণ | শিরোনাম | সর্বশেষ » শশীভূষণ বাজারের সড়ক, সামান্য বৃষ্টিতেই জলে টইটুম্বুর।। লালমোহন বিডিনিউজ
শশীভূষণ বাজারের সড়ক, সামান্য বৃষ্টিতেই জলে টইটুম্বুর।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ভোলা প্রতিনিধি : সামান্য একটু বৃষ্টি হলে ডুবে যায় শশীভূষণ থানা সদর বাজারের বিভিন্ন সড়ক। এ সময় ব্যবসায়ী ও আবাসিক গলিগুলোর অনেক বাসা-বাড়ি, দোকান-পাটে পানি ঢুকে যায়। বাসাবাড়ি ছাড়াও বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায় বাজার ও অফিস-আদালত চত্বর। ফলে জীবন-জীবিকার তাগিদে বছরের প্রায় দু’মাস এ ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হয় শশীভূষণ সদরে ব্যবসায়ী ও বসবাসরত ১০ হাজার পরিবারসহ দৈনন্দিন সদরে আগত হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে। সচেতন মহলের অভিযোগ, অপরিকল্পিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,বাড়িঘর ও ড্রেন নির্মাণের ফলে বর্ষায় এ সমস্যা লেগেই থাকে।
সাধারনত আষাঢ়- শ্রাবণে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হয়। একটু বৃষ্টি হলেই ডুবে যায় শশীভূষণ বাজার সদরের সড়কগুলো, বিশেষ করে গোডাউন সড়ক, বাজারের পশ্চিম রোডসহ বিভিন্ন অলিগলি।
সামান্য বৃষ্টিতে প্রায় হাঁটু পরিমাণ জলে সয়লাব হয়ে যায় বাজারের বিভিন্ন সড়ক। এ সময় সড়কগুলো যানবাহন ও সাধারন মানুষের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। অনেক সময় বাসাবাড়িতে ঢুকে যায় পানি। সাপ-জোঁক, পোকামাকড়সহ বিভিন্ন ধরনের ময়লা আবর্জনা ভাসতে দেখা যায় পানির ওপর। ছাত্রছাত্রীদের এ অবস্থায় হেঁটে স্কুলে ও কোচিংয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।
শশীভূষণ বাজারের ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন সুমন বলেন, সামন্য বর্ষা হলে বাজারের সড়কগুলোতে হাটু পরিমান পানি জমে থাকে। এতে ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধা হতে থাকে। দ্রুত বৃষ্টির পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন ব্যবসায়ীরা।
শশীভূষণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী শান্তি জানায়, শশীভূষণ বাজারের পশ্চিম রোডে সামান্য বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে। তখন কোচিং যাইতে অসুবিধা হয়। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় টানা বৃষ্টি হলে ২/৩ দিনেও পানি জমে থাকে।এ সময় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ব্যবসায়ী ও বাসাবাড়ির লোকজন।
এছারা বৃষ্টিতে জমে থাকা পানিতে সড়কে বা বাসাবাড়ির আঙিনা ডুবে যাবার পাশাপাশি মশা-মাছির উপদ্রবও বেড়ে যায়। সদরের গোডাউন রোড ও কৃষি ব্যাংক রোড সাধারন মানুষের যাতায়াতের অন্যতম এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতেও পানি জমে থাকে।
এছাড়া এসব সড়কে ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে। পশ্চিম গলিতে রয়েছে কয়েকটি এনজিওর কার্যালয়। জমে থাকা পানির কারণে নানা প্রয়োজনে এসব অফিসে যাতায়াতে নানা সমস্যায় সম্মুখীন হন কর্মমুখর মানুষ।ভারী বৃষ্টি হলে এ সময় অফিসমুখি মানুষেরা দুর্ভোগে পড়েন। এছাড়া গোডাউন সড়কের আশপাশে বসবাসরত প্রায় এক হাজারের বেশি পরিবারের মানুষকে বছরের দু’মাস জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়।এবং সড়কটি চলাচলের একবারে অযোগ্য হয়ে পড়ে।
এছারা শশীভূষণ বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, দীর্ঘদিন ধরে বাজার কমিটির নির্বাচন না হওয়ায় ব্যবসায়ী সমিতির মেয়াদ উর্ত্তীন্ন কমিটি দিয়ে ব্যবসায়ীদের কোন কাজে আসে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মো.মনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা এ বিষয়ে পরিষদের সমন্বয় সভায় আলোচনা করেছি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। সড়ক ও ড্রেনের মেগা প্রজেক্টের কিছু কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বরাদ্দ সাপেক্ষে বাকী কাজ চলমান রয়েছে।