সোমবার, ২৩ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ভোলা | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,ছাত্র ছাত্রী এবং কৃষকরা ঝরবৃষ্টির লক্ষনে আতঙ্কিত।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,ছাত্র ছাত্রী এবং কৃষকরা ঝরবৃষ্টির লক্ষনে আতঙ্কিত।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ,এম,আর পারভেজ : ভোলার লালমোহনের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রী ও কৃষকরা আকাশে মেঘ ও বৃষ্টির লক্ষন দেখলেই আতঙ্কিত ও শঙ্কিত হয়ে
উঠছেন। জানা যায়, বৈশাখে চলছে কৃষকের রবি মৌসুমের ফসল মুগ ডাল,হেলন ডাল,চিনা বাদাম,মিষ্টি আলু ও পাকা ইরি ধান কাটার এখনই পুরো হিরিক। সেই সাথে এখন কালবৈশাখীর তান্ডব,বৃষ্টি ও ঝরো হাওয়া। সর্বনাশা কালবৈশাখী কখন কেড়ে নেয় সব স্বপ্ন। কেউ কেউ ফসল তুলতে ও ধান কাটতে শুরু করলে ও কৃষি শ্রমিকের অভাবে
দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দৈনন্দিন।
স্থানীয় জনসাধারনের ভাষ্যমতে এ বছর ঝর বৃষ্টি শুরু হয়েছে অন্যান্য বছরের চেয়ে কিছুটা আগে। যার কারনে এ বছর কৃষকের প্রচুর পরিমান রবি শষ্য এবং ধানের ফলন হলে ও আতঙ্কের শেষ নেই কৃষকের মনে। গত সপ্তাহের মঙ্গলবারে কালবৈশাখী ঝরে লালমোহনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রবিশষ্য, গাছ পালা,বাড়ী
ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। উপজেলার কলেজুয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়,মহেশখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পূর্ব রমাগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পূর্বচরউমেদ আহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসা,
করিমগঞ্জ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা সহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কালবৈশাখী ঝরে বিধ্বস্ত হয়। যদি ও ঐ সকল প্রতিষ্ঠানের তালিকা ও ছবি সহ দরখাস্ত আহবান করেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিস।কিন্ত উপজেলার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ন অবস্থায়,নাম প্রকাশে অনিচ্ছা সত্বে একজন প্রতিষ্ঠান প্রধান ক্ষোভের সহিত বলেন,আমার প্রতিষ্ঠানের করুন অবস্থা বর্ষামৌসুমে শ্রেনী কক্ষে বসতে পারেনা ছাত্র ছাত্রীরা, শিক্ষক মিলনায়তনে ও বৃষ্টির পানি পরতে থাকে আমরা বর্ষা এলেই আতঙ্কে ও শঙ্কিত থাকি ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখা নিয়ে। শিক্ষা অফিসে অনেকবার আবেদন করেছি কোন ব্যাবস্থা হয়নি।উপজেলার পূর্বচর উমেদ
আহাম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসা,করিমগঞ্জ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা ও মহেশখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা দীর্ঘ দিন ধরেই জরাজীর্ন। এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান,আমরা এ পর্যন্ত ৩৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তালিকা ভূক্ত করে ইউ এন ও স্যারের মাধ্যমে ডিজিতে পাঠিয়েছি আশাকরি কতৃপক্ষ এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবেন।