রবিবার, ২২ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ভোলা | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে অবরোধের সময়ে মাছ শিকার।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে অবরোধের সময়ে মাছ শিকার।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, মোঃ আবদুল হান্নান : ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে গত ১ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সকল প্রকার মাছ ধরা ও বিক্রিতে সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মাছ শিকার বন্ধে প্রশাসনের তৎপরতাও চোখে নজর পড়ার মত। রীতিমত প্রশাসন বিভিন্ন মেয়াদে জেলেদের জেল ও জরিমানাও করেছে। তবুও ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলিগৌরনগর এলাকার মেঘনায় প্রতিনিয়ত জেলেরা শিকার করছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। আর এসবের পিছনে রয়েছে বাতির খাল মাছ ঘাটের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন। তার কথা মতই জেলেরা নদীতে মাছ শিকার করছে বলে জানায় স্থানীয় একাধিক সূত্র। প্রতিদিন সে স্থানীয় প্রাশসনকে ম্যানেজ ও সরকারের আইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে জেলেদের দিয়ে মাছ শিকার করে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা।
রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টায় সরেজমিনে বাতির খাল ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সকাল পৌনে ৮ টার দিকে প্রায় ১০ থেকে ১২ টি নৌকা ওই মাছ ঘাটে এসে পৌছে। প্রতিটি নৌকায় রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। নৌকাগুলো মাছ ঘাটে আসার সাথে সাথে আলাউদ্দিন বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে মাছ বিক্রি শুরু করেন। এসময় প্রায় দেড় লক্ষ টাকার মাছ বিক্রি হয়। সাংবাদিকদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে আলাউদ্দিন লোক মারফত তাদের ডেকে পাঠায়। পরে তিনি ঘটনা বেঘতিক দেখে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা বাদ দিয়ে অন্য পথে হাঁটেন।
এবিষয়ে বাতির খাল মাছ ঘাট সভাপতি মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমার এখানের কোনো জেলে নদীতে মাছ শিকার করতে যায় না। যারা মাছ নিয়ে ঘাটে এসছে, তারা বিভিন্ন চরের জেলে। মাছ বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে তারা মাছ নিয়ে এসেছে কিনা তা আমার জানা নেই।
ধলিগৌরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এএসআই রাশেদ বলেন, আমাদের এ ফাঁড়ির ইনর্চাজ স্বাক্ষী দিতে ঢাকায় গেছেন। তাই আমরা কোনো অভিযান চালাতে পারছি না। অন্যদিকে আমাদের এখানে অভিযান চালানোর মত কোনো নৌকা নেই। এজন্য আমরা অভিযান পরিচালনা করতে পারছি না।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুসের ফোনে বক্তব্যের জন্য বার বার ফোন করেও তার সাথে কথা বলা যায়নি।