
সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিক্ষা | শিরোনাম | সর্বশেষ » প্রধান শিক্ষক নেই, ভারপ্রাপ্ত দিয়েই চলছে লালমোহনের ২০টি প্রাথামিক বিদ্যালয়।। লালমোহন বিডিনিউজ
প্রধান শিক্ষক নেই, ভারপ্রাপ্ত দিয়েই চলছে লালমোহনের ২০টি প্রাথামিক বিদ্যালয়।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, লালমোহন প্রতিনিধি: লালমোহনে ২০ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীর্ঘ দিন না থাকায় ওই সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান জিমিয়ে পরছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে এ সকল বিদ্যালয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, লালমোহনের ৯ টি ইউনিয়ানে ১৯০ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে (সদ্য জাতীয়করণকৃত সহ) তার মধ্যে ৭২ টি পুরাতন সরকারী, এবং ১১৮ টি সদ্য জাতীয়করণ কৃত, এর মধ্যে ৬ টি কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। উপজেলার যে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই, ভেদুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুলচরা সরকারী
প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুন্ডের হাওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামারের হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিশ্বাসের পাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবির চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজিরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফারজানা চৌধুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফারজানা চৌধুরী রত্না সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদ্য জাতীয় করণকৃত বিদ্যালয়ের মধ্যে- ইসলামিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পলোয়া খালী (কালামুল্লা) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব ধলীগৌরনগর সরকারী প্রাথমিকবিদ্যালয়, চর উদয়খালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর মোল্লাজী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরভূতা খারা কান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য লর্ডহার্ডিঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর পূর্ব অন্নদা প্রসাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম সৈয়দাবাদ মাওঃ সৈয়দ আহম্মদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ বেদুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইলিশা কান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন না থাকায় স্থানীয় অভিভাবকরা তাদের সন্তানের পাঠদান নিয়ে সঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
কয়েকজন অভিভাবক জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অফিসিয়াল কাজে সব সময় ব্যাস্ত থাকেন, বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসতে পারেন না। তাছাড়া অনেক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের সংখ্যা কম। নিয়মিত পাঠদান করাতে কষ্ট হয়ে পরছে তাদের।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল আহম্মেদ বলেন, যে সকল বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই আমরা সে সকল বিদ্যালয়ের
তালিকা করে শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি আশাকরি শিঘ্রই শিক্ষক সংকট কেটে যাবে। কি কারনে ওই সকল বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা অফিসার বলেন, অবসর গ্রহণ ও মৃত্যু জনিত কারনে এ সকল বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শূন্য।