বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর | বরিশাল | শিক্ষা | শিরোনাম | সর্বশেষ » শিক্ষকদের কাছে জিম্মি শিক্ষার্থীরা, বরিশালে নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের ছড়াছড়ি ।। লালমোহন বিডিনিউজ
শিক্ষকদের কাছে জিম্মি শিক্ষার্থীরা, বরিশালে নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের ছড়াছড়ি ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, স্টাফ রিপোর্টার : সরকারীভাবে নিষিদ্ধ হলেও বাবুগঞ্জ উপজেলায় প্রশাসনের নাকের ডগায় নোট ও গাইড বইয়ের রমরমা বানিজ্য চলছে। তবে সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের এব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেই। অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরদের নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন গাইড ও বাংলা-ইংরেজি গ্রামার বই কিনতে বাধ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক শ্রেনীর শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ঠ প্রকাশনা সংস্থার থেকে অবৈধ আর্থিক সুবিধা নিয়ে এসব নিষিদ্ধ গাইড ও গ্রামার বই নিজ প্রতিষ্ঠানে চালু করছেন। লাইব্রেরিগুলোতে খুঁজে পাওয়া যায় না সরকার নির্ধারিত কোনো গ্রামার বই। উপজেলায় ১৩৩টি প্রাথমিক,৩৬টি মাধ্যমিক,১৮টি মাদ্রাসা,৬টি কিন্ডার গার্ডেন রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কতিপয় অসাধু শিক্ষক এ গাইড ও গ্রামার বইয়ের অবৈধ বানিজ্যের সঙ্গে নিজেদের জড়িত রেখেছেন। এক একটি প্রতিষ্ঠানে শ্রেনী অনুযায়ী শিক্ষকরা গাইড ও গ্রামার বই কিনতে শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দিয়ে থাকেন। কোন শিক্ষার্থী তার নিজের চাহিদা অনুযায়ী গাইড ও গ্রামার বই কিনতে পারছে না। সংশ্লিষ্ঠ শিক্ষকদের নির্দিষ্ট পাঠ্য তালিকা ছাড়া কোন শিক্ষার্থী গাইড বা গ্রামার বই কিনলে তা ওই দোকানে ফেরত দিতে হয়। শিক্ষকদের নির্দেশ অনুযায়ী শিক্ষাথীরাও বাধ্য হচ্ছে এসব নিষিদ্ধ গাইড-বই কিনতে। সরকার মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজি ২য় পত্রের বই বিনামূল্যে প্রদান করছে। কিন্তু উপজেলার বিদ্যালয়গুলো ঘুরে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর হাতে অন্যান্য বইয়ের পাশাপাশি শিক্ষক নির্ধারিত গাইড ও গ্রামার বই দেখা গেছে।একইভাবে উপজেলার প্রাথমিক,মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি বিধি নিষেধের পর কমিশন বানিজ্যের কারনে দেদারসে নিষিদ্ধ নোট ও গাইড চলছে। অনেক শিক্ষার্থীকে মূল পাঠ্যবই নিয়ে বিদ্যালয়ে না গেলেও গাইড-গ্রামার বই ক্লাসে যেতে দেখা গেছে। আবার অনেক শিক্ষক গাইড বই দেখেই প্রাইভেট পড়াচ্ছে শিক্ষার্থীদের।জানা গেছে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিক্রয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা সমিতি ও প্রথমিক শিক্ষক সমিতি এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কমিশন প্রদান ও বিভিন্ন উপডৌকনের মাধ্যমে ম্যানেজ করে এসব প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকরা ওই বই কিনতে শিক্ষার্থীদের হাতে তালিকা ও মৌখিক নির্দেশ দিয়ে দেন। বর্তমানে বাজরে বইয়ের দোকানে লেকচার, পাঞ্জেরী, পপি, জুপিটার, অরবিট, নবপুথিঘর, কাজল, দিগন্ত, কস্পিউটার, আলঅরাফাহ, অনুপম, অনামিকা, আদিলসহ বিভিন্ন প্রকাশনীর নোট, গাইড ও গ্রামার বই তাকে সাজিয়ে রাখতে দেয়া হয়। এসব গাইড সরকারিভাবে বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানছেনা বিক্রেতারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বই বিক্রেতারা জানান ,গাইড ও নোট বই শিক্ষার্থীদের উপকারে আসছে না। গাইড ও নোট বই পড়ে না এমন শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া যাবে না। দোস হয় শুধু প্রকাশনী ও বইয়ের দোকানদারদের। এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিথীকা সরকার সাংবাদিকদের বলেন নোট বই ও গাইড বিক্রিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আমার কিছু করার নেই। কারন বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।