বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » জাতীয় | মুক্তমত | রাজধানী | রাজনীতি | শিরোনাম | সর্বশেষ » আগামী নির্বাচনে অস্থিরতা হতে পারে বাংলাদেশে-ভারতীয় দ্যা হিন্দু পত্রিকা ।। লালমোহন বিডিনিউজ
আগামী নির্বাচনে অস্থিরতা হতে পারে বাংলাদেশে-ভারতীয় দ্যা হিন্দু পত্রিকা ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্ক : বাংলাদেশের আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে বলে এ প্রতিবেদনে বলেছে ভারতীয় পত্রিকা দ্যা হিন্দু।
বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সামনেই অতি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অস্থিরতার এক আতঙ্কের মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। বছরের শেষের দিকে ১১তম পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য দেশ যতই প্রস্তুতি নিচ্ছে ততই রাজনৈতিক অস্থিরতায় ফেরার এক আশঙ্কা, উদ্বেগ বেশি করে দেখা দিচ্ছে। বেশির ভাগ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মত প্রকাশ করেছেন যে, ২০১৮ সালের এই নির্বাচন হতে যাচ্ছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।
কারণ, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের বিরোধী পক্ষগুলো তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করবে বলেই মনে হচ্ছে। তারা দেখাতে চায় যে, ‘ধর্মনিরপেক্ষ স্বাধীনতাপন্থি’ দলগুলো ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এর আগের জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। ওই সময় জামায়াতে ইসলামী সহ ইসলামপন্থি দলগুলো ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচন বর্জন করে। সৃষ্টি হয় এক সহিংস পরিবেশ। তার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন।
এবারও রাজনৈতিক অস্থিরতা যে সৃষ্টি হবে তার অন্যতম একটি আগাম ইঙ্গিত এরই মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। তা হলো আগেরবারের মতো সেই একই দাবিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি শুরু করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি জোট। বিএনপির মূল নেতৃত্বে থাকা নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবেন না তারা। একই সঙ্গে তারা নির্বাচন তত্ত্বাবধান করার জন্য একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দৃঢ়তার সঙ্গে বলেই যাচ্ছে, দেশের সংবিধানের অধীনে তারাই ক্ষমতায় থাকবে এবং তাদের অধীনেই হবে নির্বাচন।
চার বছর আগে, নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ভয়াবহ এক সহিংসতা প্রত্যক্ষ করে। বিশ্লেষকরা বলেন, ওই সময় বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে যে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছিল তা তাদের রাজনৈতিক ভুল ছিল- এটা প্রমাণিত হয়েছে এবং এর জন্য তাদেরকে অনেকটা মূল্য দিতে হয়েছে। এখন বিরোধীরা সেই একই ভুল আর করতে চায় না।
সরকারের বিভিন্ন নীতিতে জনগণের মধ্যে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে তাকে পুঁজি করছে তারা। তবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা চলছে। যদি বিচার বিভাগ থেকে তিনি অভিযুক্ত হয়ে শাস্তিপ্রাপ্ত হন তাহলে তাতে তারা কিছুটা হোঁচট খেতে পারেন।
বিএনপি ও তার ইসলামপন্থি মিত্ররা বিশ্বাস করে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ তাদেরকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে। পাশাপাশি তারা যুক্তি দেখান যে, ক্ষমতায় যাওয়ায় তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়বে আওয়ামী লীগ। ওদিকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করছেন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। তারা বলছেন, আত্মতুষ্টি ভোগের ব্যাপারে তারা সতর্ক। তারা মনে করছেন, দলটিকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে হলে দেঘুজে কার্যকর নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে হবে, দলের ভিতরের বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং সঠিক প্রার্থীকে বাছাই করতে হবে।
ক্ষমতাসীন দল আরো একটি চ্যালেঞ্জে পড়তে পারে, যদি জাতীয় পার্টির প্রধান এইচ এম এরশাদ এই জোট ছাড়েন এবং নিজেই লড়াইয়ের ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নেন।
লালমোহন বিডিনিউজ, ডেস্ক : বাংলাদেশের আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে বলে এ প্রতিবেদনে বলেছে ভারতীয় পত্রিকা দ্যা হিন্দু।
বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সামনেই অতি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অস্থিরতার এক আতঙ্কের মধ্য দিয়ে ২০১৮ সালকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। বছরের শেষের দিকে ১১তম পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য দেশ যতই প্রস্তুতি নিচ্ছে ততই রাজনৈতিক অস্থিরতায় ফেরার এক আশঙ্কা, উদ্বেগ বেশি করে দেখা দিচ্ছে। বেশির ভাগ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মত প্রকাশ করেছেন যে, ২০১৮ সালের এই নির্বাচন হতে যাচ্ছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।
কারণ, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের বিরোধী পক্ষগুলো তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করবে বলেই মনে হচ্ছে। তারা দেখাতে চায় যে, ‘ধর্মনিরপেক্ষ স্বাধীনতাপন্থি’ দলগুলো ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এর আগের জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে। ওই সময় জামায়াতে ইসলামী সহ ইসলামপন্থি দলগুলো ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচন বর্জন করে। সৃষ্টি হয় এক সহিংস পরিবেশ। তার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন।
এবারও রাজনৈতিক অস্থিরতা যে সৃষ্টি হবে তার অন্যতম একটি আগাম ইঙ্গিত এরই মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। তা হলো আগেরবারের মতো সেই একই দাবিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি শুরু করেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি জোট। বিএনপির মূল নেতৃত্বে থাকা নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবেন না তারা। একই সঙ্গে তারা নির্বাচন তত্ত্বাবধান করার জন্য একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাচ্ছেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দৃঢ়তার সঙ্গে বলেই যাচ্ছে, দেশের সংবিধানের অধীনে তারাই ক্ষমতায় থাকবে এবং তাদের অধীনেই হবে নির্বাচন।
চার বছর আগে, নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ভয়াবহ এক সহিংসতা প্রত্যক্ষ করে। বিশ্লেষকরা বলেন, ওই সময় বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে যে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছিল তা তাদের রাজনৈতিক ভুল ছিল- এটা প্রমাণিত হয়েছে এবং এর জন্য তাদেরকে অনেকটা মূল্য দিতে হয়েছে। এখন বিরোধীরা সেই একই ভুল আর করতে চায় না।
সরকারের বিভিন্ন নীতিতে জনগণের মধ্যে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে তাকে পুঁজি করছে তারা। তবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা চলছে। যদি বিচার বিভাগ থেকে তিনি অভিযুক্ত হয়ে শাস্তিপ্রাপ্ত হন তাহলে তাতে তারা কিছুটা হোঁচট খেতে পারেন।
বিএনপি ও তার ইসলামপন্থি মিত্ররা বিশ্বাস করে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ তাদেরকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে। পাশাপাশি তারা যুক্তি দেখান যে, ক্ষমতায় যাওয়ায় তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়বে আওয়ামী লীগ। ওদিকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করছেন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। তারা বলছেন, আত্মতুষ্টি ভোগের ব্যাপারে তারা সতর্ক। তারা মনে করছেন, দলটিকে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে হলে দেঘুজে কার্যকর নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে হবে, দলের ভিতরের বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং সঠিক প্রার্থীকে বাছাই করতে হবে।
ক্ষমতাসীন দল আরো একটি চ্যালেঞ্জে পড়তে পারে, যদি জাতীয় পার্টির প্রধান এইচ এম এরশাদ এই জোট ছাড়েন এবং নিজেই লড়াইয়ের ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নেন।