ভোলায় জাতীয়করণ দাবীতে শিক্ষক সমাবেশে-বাণিজ্যমন্ত্রী এমপি শাওন ও এমপি মুকুল।।লালমোহন বিডিনিউজ

লালমোহন বিডিনিউজ,ভোলা সংবাদদাতা : বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাস) জাতীয়করণের দাবিতে রোববার ভোলা বাংলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত ১০ হাজার শিক্ষকের সমাবেশে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, শিক্ষাকরা হচ্ছেন জাতি গঠনের মেরুদন্ড। দেশ কে এগিয়ে নেয়ার জন্য নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষকরা। তাই শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণের দাবির সঙ্গে একত্মতা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু প্রথম বেসরকারী সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন। সেই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারও প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়কারণ করেন। ইতিমধ্যে অনেক কলেজ ও স্কুলকে জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়েছে। ফলে বর্তমান শিক্ষকদের জাতীয়করণের দাবির বিষয়টি সময়ের দাবি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরারও আশ্বাস দেন। এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, আগামী নির্বাচন যথা সময়ে ২০১৯ সালের আগে ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। ওই সময় সরকার পরিচালনায় থাকবে বর্তমান সরকারই। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবেন। রংপুরের সিটি নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশন প্রমান করেছে তারা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। দলীয় সরকারের সময়ে আগামী নির্বাচন এই কমিশনের করতে বাধা নেই। এ সময় মন্ত্রী গ্যাসের মজুদ সমৃদ্ধ ভোলার প্রসঙ্গে বলেন, ব্যাপক সম্ভবনাময় শিল্পায়নের জন্য ভোলা হবে বাংলাদেশের সিংগাপুর। ভোলার গ্যাস দিয়েই এখানে নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা স্থাপিত হবে। ইতিমধ্যে ভোলার বোরহানউদ্দিনে ৫টি কুপ খনন করা হয়োছে। ভোলার ভেদুরিয়া আরো ১টি কুপ খনন করা হচ্ছে। গ্যাসের মজুদ ২ টিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। এ গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশা পাশি শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। ভোলার প্রধান সমস্যা নদী ভাঙ্গন রোধে ইতিমধ্যে ১৬ শ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। এসময় সাবেক প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেনের সভাপত্বিতে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ভোলা-৩ আসনের এমপি নুরুনব্বী চৌধুরী শাওন, ভোলা-২ আসনের এমপি আলী আজম মুকুল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকিব, জেলা আওয়ামীলীগের অপর যুগ্ন সম্পাদক এনামুল হক আরজু, জেলা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ সাফিয়া খাতুন, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ মোবাশ্বেরুল হক নাইম, প্রধান শিক্ষক মীর আমির হোসেন, প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইদুল ইসলাম সেলিম, প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন তালুকদার প্রমূখ। এদিকে সকাল থেকে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আলাদা আলাদা ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে শিক্ষকরা সমাবেশে যোদ দিতে থাকেন। পরে বিকালে বাণিজ্যমন্ত্রী অপর এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।