বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে সহকারী শিক্ষিকার মাতৃকালীন ছুটি নিয়ে ধুম্রজাল, স্কুলে অগ্রীম হাাজিরা! লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে সহকারী শিক্ষিকার মাতৃকালীন ছুটি নিয়ে ধুম্রজাল, স্কুলে অগ্রীম হাাজিরা! লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ : লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়ন উত্তর পূর্ব চরলক্ষী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শাহনাজ বেগম নামের এক সহকারী শিক্ষিকার মাতৃকালীন ছুটি নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম গত ১জুলাই ২০১৭ তাঁর বিদ্যালয় থেকে ছয় মাসের মাতৃকালীন ছুটি গ্রহন করেন। নিয়মানুযায়ী তাঁর এ ছুটি আগামী ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলে ও গত ২৫ নভেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে লালমোহন শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে ৫/১২/১৭ ইং তারিখের মধ্যে প্রশিক্ষনের জন্য ভোলা পিটিআই তে ভর্তি হতে নির্দেশ করে। পিটিআইতে প্রশিক্ষনের জন্য অনেক শিক্ষক অপেক্ষামান থাকলেও তাদের না দিয়ে অদৃশ্য শক্তির বদলতে প্রশিক্ষনে একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা শিক্ষিকার নাম তালিকাভুক্ত হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছে অনেক ভুক্তভোগীরা। ৫ডিসেম্বরে তার নাম পিটিআই প্রশিক্ষনের তালিকা ভুক্ত হওয়ায় ৭ ই ডিসেম্বর সে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের রেফারেন্স দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতে শিক্ষক হাজিরা খাতায় ২২ নভেম্বর থেকে এক সাথে ১৬ দিনের স্বাক্ষর করে এবং মাতৃত্ব কালীন ছুটিকে মেডিকেল ছুটিতে পরিনত করতে প্রধান শিক্ষক বরাবর আবেদন করেন যা প্রধান শিক্ষক স্বীকার করেন। হাজিরা খাতায় মাতৃত্বকালীন ছুটি লেখা থাকলেও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কীটকৌশল গ্রহন করে তার রেফারেন্স দিয়ে প্রধান শিক্ষকের বরাবর বিধি বর্হিভূত ভাবে মেডিকেল ছুটির দরখাস্ত প্রধান করেন ।
ছুটি কাটানো অবস্থায় পিটিইতে যোগদান এবং দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে এক সাথে হাজিরা খাতায় ১৬ দিনের স্বাক্ষর নিয়ে স্থানীয় শিক্ষক মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষিকা শাহনাজ বেগম বলেন, আমার মাতৃকালীন ছুটি শেষ হওয়ার পূর্বে ডাক্তারের ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়ে বিদ্যালয়ে যোগদান করেছি। ৭ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে গিয়ে নিয়ম বর্হিভুত ভাবে ২২ নভেম্বর থেকে একসাথে ১৬ দিনের স্বাক্ষর কেন করেছেন ? এমন প্রশ্ন করলে সে কোন জবাব না দিয়ে মোবাইলের লাইন কেটে দেয়। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক শিক্ষক বলেন, লালমোহন উপজেলা শিক্ষা অফিসার বড় অংকের উৎকোচের মাধ্যমে এমন অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন। যে শিক্ষা অফিসার উৎকোচ পেলে সরকারী টাকা তছরুপ করে শিক্ষককে পরপর দু বছর শ্নান্তিভাতা দিতে পারে তার জন্য যে কোন অপকর্ম করাই সম্ভব। অনেকে বলেন তিনি অল্প না মোটা দান খান।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পলীন বাবুৃর কাছে জানতে চাইলে তিনি মাতৃকালীন ছুটি ও অগ্রীম হাজিরার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সহকারী শিক্ষিকা শাহনাজ উপজেলা শিক্ষা অফিসার এর রেফারেন্স নিয়ে এমনটা করেছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কথায় অগ্রীম হাজিরা দেওয়ার নিয়ম আছে কিনা? জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, এমন কোন নিয়ম নেই তবে শিক্ষিকা আমার অনুপস্থিতিতে এভাবে স্বাক্ষর করেছেন।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা শিক্ষা অফিসার জালাল আহামেদ কে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যাস্ত দেখিয়ে ফোন কেটে দেন ।