মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » মনপুরা | শিরোনাম | সর্বশেষ » মনপুরার মেঘনায় অবৈধ জালে চিংড়ি রেনু আহরন ধ্বংস হচ্ছে ১৩৭ প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী
মনপুরার মেঘনায় অবৈধ জালে চিংড়ি রেনু আহরন ধ্বংস হচ্ছে ১৩৭ প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী
সীমান্ত হেলাল, মনপুরা :মনপুরায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মেঘনায় অবাধে চলছে গলদা-বাগদা চিংড়ির রেনু আহরন। প্রতিদিন নিষিদ্ধ মশারি ও ঠেলা জাল দিয়ে জেলেরা লক্ষ লক্ষ চিংড়ি রেনু আহরন করে খুলনা, বাগেরহাট ও যশোর চিংড়ি খামাড়ে সরবরাহ করছে।
অসচেতনভাবে জেলেরা এই রেনু আহরন করায় ধ্বংস হচ্ছে ১৩৭ প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। মৎস্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রাকৃতিক উৎস্য হতে বেপরোয়াভাবে এই রেনু ধরা বন্ধ করার দরকার। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মনপুরার মেঘনায় অবাধে চলছে রেনু সংগ্রহ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুর রহমান রেজা জানান, অভিযান চলছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, জেলে,শিশু ও বৃদ্ধ সবাই মশারি ও ঠেলা জাল নিয়ে মেঘনায় চিংড়ি রেনু আহরন করছে। জেলেরা শুধু বাগদা-গলদা চিংড়ির রেনু সংগ্রহ করে অন্যান্য মাছের রেনু ও জলজ প্রানী ফেলে দিচ্ছে।
জানা যায়, খুলনা, বাগেরহাট যশোর এলাকার ঘের মালিকরা স্থানীয় আড়তদারদের মাধ্যমে চিংড়ি রেনু সংগ্রহ করে। আড়তদাররা হকারের মাধ্যমে জেলেদের কাছ থেকে রেনু সংগ্রহ করে। সবাই নির্দিষ্ট হারে কমিশন পায়।
জেলেরা বলছেন, এই সময় তাদের কোন কাজ না থাকায় জীবনের তাগিদে বাধ্য হয়ে তারা এই রেনু আহরন করছে।
খুলনার বাগেরহাট চিংড়ি গবেষনা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী এইচ.এম রকিবুল ইসলাম যুগান্তরকে মুঠোফোনে জানান, ২০১১ থেকে ২০১২ গবেষনায় দেখা গেছে, এই রেনু আহরনে ১৩৭ প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের মাছের রেনু মারা যায়। অনেক ক্ষেত্রে আলাদাভাবে ৬৫০-৭১৪ প্রজাতির পোনা মারা যায়।
চাঁদপুর মৎস্য গবেষনা কেন্দ্রের প্রধান গবেষক ড. আনিসুর রহমান মুঠোফোনে যুগান্তরকে জানান, এই রেনু আহরনে বেশি ক্ষতি হচ্ছে ইলিশের। এতে শতাধিকের উপর জলজ প্রানী ধ্বংস হচ্ছে। তিনি আরোও বলেন, এর থেকে উত্তরনের জন্য দরকার ব্যাপক গণসচেতনা ও জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান।