সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর | লালমোহন | শিরোনাম | সর্বশেষ » লালমোহনে পর পর দুই বছর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা উত্তোলনের দায়ে শিক্ষক শোকজ।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহনে পর পর দুই বছর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা উত্তোলনের দায়ে শিক্ষক শোকজ।।লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ: লালমোহনে মো. মাহাবুব নামের এক শিক্ষক কতৃক পর পর দু বার শ্রান্তি ভাতা উত্তোলন করে সরকারী টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে শোকজ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
অন্যান্য শিক্ষকগণ ৪/৫ বছরে ও যেখানে শ্রান্তি ভাতা পাচ্ছেন না, সেখানে শিক্ষা কর্মকর্তার আস্তাভাজন হিসেবে খ্যাত পূর্ব চরলক্ষি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ শিক্ষক (মাহাবুব হোসেন) শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে আতাত করে দূর্নীতির মাধ্যমে পর পর দু বছর এ ভাতা উত্তোলন করেন।
জানা যায় এ শিক্ষক ২ বছর পূর্বে ডাওরী হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরী কালীন সময় একই বিদ্যালয়ের প্রবাসীর স্ত্রী এক শিক্ষকার সাতে প্রেমে জড়িয়ে তাকে নিয়ে উধাও হয়। পরে জেলা শিক্ষা অফিস তাকে বাধ্যতা মুলক ভাবে লালমোহন থেকে মনপুরা উপজেলায় বদলি করা হয়। সেখানে গিয়ে এ শিক্ষক ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে শ্রান্তিভাতা উত্তোলন করেন। যার স্মারক নং উশিঅ/মন/২০১৬-১৬৬/১০৭। আবার সে অসাদুপায় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে লালমোহনে নিজ এলাকার পূর্ব চরলক্ষি সঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন।
এখানে এসে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যাবহার করে লালমোহন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. জালাল আহমেদের যোগসাজশে অন্য সকল শিক্ষকদের শ্রান্তি ভাতা থেকে বঞ্চিত করে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে নিজেই ভাতার পাওয়ার সুযোগ নেন শিক্ষক মাহাবুব হোসেন । যার স্মারক নং উশিঅ/লাল/৬০৩/৩।
অপরদিকে শিক্ষক মাহাবুব হোসেন অনিয়ম ও দুবার শ্রান্তি ভাতা উত্তোলনে ভাতা বঞ্চিত শিক্ষিকরা ক্ষোভে ফুসে উঠেন। সরকারী বরাদ্ধ থাকা সত্বেও শিক্ষা কর্মকর্তার গাফিলতিতে শতশত শিক্ষক এ ভাতা থেকে বঞ্চিত অথচ একজন শিক্ষক কিভাবে পরপর দু অর্থ বছরে ভাতা পেতে পারে? ।
এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ৭/১২/২০১৭ তারিখে নিজ স্বাক্ষরিত পত্রে শিক্ষক মাহবুবকে সরকারী টাকা আত্বসাৎ এর অভিযোগে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়। যার স্বারক নং২৪৮/৩ ।