রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » বিনোদন | রাজধানী | শিরোনাম | সর্বশেষ » আমাকে ডিভোর্স দিলে ১ কোটি ৭ লাখ টাকাই দিতে হবে - অপু বিশ্বাস ।। লালমোহন বিডিনিউজ
আমাকে ডিভোর্স দিলে ১ কোটি ৭ লাখ টাকাই দিতে হবে - অপু বিশ্বাস ।। লালমোহন বিডিনিউজ
লালমোহন বিডিনিউজ : ২০০৬ সালে ‘কোটি টাকার কাবিন’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় জুটি বাঁধা শাকিব-অপু এবার বাস্তবেও কাবিননামার দেনমোহর জটিলতায় পড়লেন। শাকিব-অপুর ডিভোর্স ঝড় শেষ না হতেই নতুন করে শুরু হলো তাদের দেনমোহর বিতর্ক।
শাকিব আর তার আইনজীবী বলছেন, কাবিননামায় দেনমোহর হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ৭ লাখ ১ টাকা। আর অপুর দাবি, ১ কোটি ৭ লাখ টাকা। শাকিবের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অপু নতুন করে জালিয়াতির আশ্রয় নিতে যাচ্ছে। ৭ লাখ ১ টাকাকে সে উল্টে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা বানাতে চাইছে। দেনমোহর যদি ১ কোটি টাকাও হয় এরপর ভাঙা টাকা হিসেবে ৭ লাখ টাকা কেমন করে হবে। নিশ্চয়ই একটি রাউন্ড ফিগার হওয়ার কথা। তার এই জালিয়াতির অপরাধে তাকে আইনগতভাবে শাস্তি পেতে হবে।
অপু বলছেন, যদিও আমার কাছে কাবিননামার কোনো কপি নেই, তারপরও মনে পড়ছে কাবিননামায় ১ কোটি ৭ লাখ টাকাই উল্লেখ ছিল। আমাকে ডিভোর্স দিলে এই অঙ্কের টাকাই দিতে হবে।
শাকিব খান এ কথা শুনে হেসে উঠে বলেন, আমি আর কোনো ঝামেলার মধ্যে নেই। আইনই সব দেখবে। আমি এখন শুধু কাজের মধ্যেই ডুবে থাকতে চাই। আমার কাছে এখন কর্মজীবনই মুখ্য। দেশীয় চলচ্চিত্রের উন্নয়নে ১৯৯৬ সাল থেকে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আমার লক্ষ্য আমাদের চলচ্চিত্রকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আবার স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠা করা। আমার এই মিশন ইতিমধ্যে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে। আমাদের ছবি এশিয়া, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এমনকি মধ্যপ্রাচ্যেও আগ্রহ জাগিয়েছে। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এ দেশের ছবিকে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিতে চাই।
ঢাকাই ছবির নবাব-খ্যাত শীর্ষনায়ক শাকিব খান এখন ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে ‘নোলক’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নিচ্ছেন।
শুক্রবার সকালে সেখান থেকে মুঠোফোনে তার কর্ম ও ব্যক্তিজীবন নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করেন এবং আগামী পরিকল্পনার কথা জানান।
শাকিব খান বলেন, সংসার জীবন নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। তারপরও যখন বিষয়টি ঘোলাটে হচ্ছে তাই বলব, যার সঙ্গে মতের মিল হয় না, তার সঙ্গে কখনো এক ছাদের নিচে বসবাস করা যায় না।
অনেক কষ্ট সহ্য করে ৯ বছর সংসার করেছি। এখন আমার একটি সন্তান আছে। তার সামনে যদি খুনসুটি লেগেই থাকে তাহলে তার মন-মানসিকতার ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
জয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবেই সেপারেশনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। বিষয়টি পৃথিবীতে আমার ক্ষেত্রে প্রথম নয়। সচেতন মানুষরা সব সময় সন্তানের ভালোর চিন্তা করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়। আমিও তাই নিয়েছি। যখন মনের মিল হচ্ছে না তখন দূরত্ব বজায় রেখে চললেও কারও সমস্যায় আমি তো হাত গুটিয়ে বসে থাকব না। আমি চাই, আমার ছেলে দেখুক তার বাবা ভালো ভালো কাজ করে যাচ্ছে। এ নিয়ে তার মধ্যে গর্ব কাজ করুক। আমার প্রত্যাশা, জয় ডিজনি ওয়ার্ল্ডসহ বিশ্বসেরা স্থানগুলোতে বিচরণ করুক। দুঃখ, কষ্ট আর অভাব তাকে যেন ছুঁতে না পারে সে চেষ্টাই করে যাব। তাকে আমার চেয়েও উন্নত স্থানে দেখতে চাই। শাকিবের কাছে প্রশ্ন ছিল আপনার নতুন জীবন কেমন হবে?
আত্মপ্রত্যয়ী এই শীর্ষনায়ক বলেন, জীবন তো মানুষের একটাই। সবাইকে একদিন পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়। মানুষ বেঁচে থাকে কাজের মাধ্যমে। আমি আরও উন্নত কাজ করে যেতে চাই। বলিউডের ছবিতেও কাজ করার কথা ছিল। ব্যস্ততা আর নানা ঝামেলায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এখন তো আমি বাংলাদেশ আর কলকাতা দুই দেশের ছবিতেই কাজ করছি।
এবার বলিউডের ছবিতেও অভিনয় করব। নিজেকে প্রয়োজেনে হলিউড পর্যন্ত ছড়িয়ে দেব। এটি ব্যক্তি শাকিবের জন্য নয়, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের জন্যই আমার এই চিন্তা-চেতনা। বিশ্ব আবারও দেখুক এবং জানুক বাঙালি জাতি সাহসী এবং বীরের জাতি। তারা সব সময় শ্রেষ্ঠত্ব এবং বিজয় অর্জন করতে জানে। আমাদের দেশ ক্রিকেট দিয়ে যদি বিশ্বে আলাদা এবং গর্বের পরিচিতি অর্জন করতে পারে, তাহলে চলচ্চিত্র দিয়ে কেন পারবে না।
চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে আমাদের সেই সোনালি অতীত তো রয়েছেই। সেই ঐতিহ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে জীবনবাজি রেখে লড়ে যাব। এখন ব্যক্তিজীবন বলে আর কিছু নেই। চলচ্চিত্র জীবনই সব। চলচ্চিত্র আর সন্তান জয়ের সমৃদ্ধির জন্যই শুধু ভূমিকা রেখে যাব। অন্য কিছু নয়।