মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় | বিবিধ | শিরোনাম | সর্বশেষ » নেপালের ভূমিকম্পে যত মানষ মারা গেছে তার দ্বিগুন মানুষ মারা যায় বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনায়- ইলিয়াস কাঞ্চন
নেপালের ভূমিকম্পে যত মানষ মারা গেছে তার দ্বিগুন মানুষ মারা যায় বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনায়- ইলিয়াস কাঞ্চন
নীলফামারী সংবাদদাতা : নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচার) চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, সম্প্রতি নেপালের ভূমিকম্পে যত মানুষ মারা গেছে তার দ্বিগুন মানুষ বাংলাদেশের প্রতি বছর সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায়। অথচ এই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যতখানি সাহায্য-সহযোগীতা করা দরকার সেটা কিন্তু সরকারের তরফ থেকে করা হচ্ছে না।
সোমবার দুপুরে নীলফামারী ডায়াবেটিক হাসপাতালের সম্মেলণ কে “গাড়ী চালকদের দতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিণ কর্মশালা” শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন
নীলফামারী পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে “সাসটেইনেবল রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট, এলজিইডি ও নিরাপদ সড়ক চাই এর উদ্যোগে এ কর্মশালায় “সাসটেইনেবল রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের বিভাগীয় পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুল বাছেদ, এলজিইডি নীলফামারীর নির্বাহী প্রকৌশলী হক মাহমুদ ও নিরাপদ সড়ক চাই নীলফামারী জেলা কমিটির আহবায়ক মৃনাল কান্তি রায় ও সদস্য সচিব রাসেল আমীন স্বপন বক্তব্য রাখেন,। দিন ব্যাপী কর্মশালায় হালকা, মাঝারী ও ভারী যানবহনের দুইশ’ জন চালক অংশ গ্রহণ করেন।
ইলিয়াছ কাঞ্চন আরো বলেন, সড়ক দূর্ঘটনার রোগীদের এক ঘন্টার মধ্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া গেলে মৃত্যূ বা পঙ্গুত্বের হার অনেক কমে যাবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এজন্য দেশে একটি সেন্ট্রাল অর্থোপেডিকস হাসপাতাল তৈরীর পাশাপাশি মহাসড়কের প্রতি ২০ কিলোমিটার অন্তর একটি করে ট্রমা সেন্টার স্থাপন করা ও রোগীদের উদ্ধারের জন্য রেসকিউ টিম তৈরী করা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, শুধু গাড়ী চালকদের প্রশিত হলেই হবে না পথচারীদের অদতার কারনে দিন দিন দুর্ঘটনা বাড়ছে। তাই যাত্রী, পথচারী, চালক, মালিকসহ সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান। এসময় তিনি আরো বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সরকারের সহযোগীতায় ২০১৭ সাল থেকে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পাঠ্য পুস্তকে সচেতনতা মুলক বিষয় সংযুক্ত করা হবে।